শনিবার ২৬শে বৈশাখ ১৪২৭, ৯ই মে ২০২০
কবিতা
সাজ্জাদ সাঈফ
তমা সিরিজ: ছায়া
ছায়া-ছায়া বিকালের পিছনে
তোমার আঁচল ছড়িয়ে থাকে।
ওই ছায়াটুকু আমার লেখায়
ঘন কালি হয়ে নামে।
জানো নাকি তমা?
রাশেদুন্নবী সবুজ
কারখানা
এইখানে প্রতিদিন
এক জোড়া চপ্পল হেঁটে যায়
নির্জন গানের মিছিলে
ঝকঝকে মেঝের উপর ধুলো উড়িয়ে
জীবন ভালোবেসে; মরনের পথে- একা
পাহারাদার প্যাঁচা
অপেক্ষা করে নষ্ট অন্ধকারের
ঘুমন্ত চোখ জেগে থাকে- এখানে
বসন্ত নেই; নেই আকাশ-ঘাস
সূর্য নেই, চাঁদ নেই, কবিতা নেই
ঝরে পড়ে সাইরেন- ক্ষয়ে যাবার
ঘর্মাক্ত শব্দের ঘ্রাণ আছড়ে পড়ে
সকল সময়; তবুও
দাঁড়কাক উড়ে গেলে
কুয়াশা মুছে বাবার চোখ দুটো
পিঠে হাত রেখে হেঁটে চলে পাশাপাশি৷
ফাহামিদা সুহা
অপেক্ষায়
বেলাভূমির গায় পা রেখে হাঁটছি...
ঢেউ জড়িয়ে যাচ্ছে-পায়,
কাদা বালি আছড়ে পরছে, শাড়ির কুচি জড়িয়ে ।
বাতাসের নৃত্য চলছে,
আঁচল শূন্যেয় ভাসছে ।
সাগর তীরে দাঁড়িয়ে পরলেম ।
ঘন কালো অন্ধকার,
বিজন চড়ে তাকিয়ে ভাবলেম-
হাতে একগুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া পাবার কথা!
ততখনে দিগন্তের সব সুখ হেলে পরেছে সন্ধ্যার বুকে,
আকাশ তারায় সেজেছে,জমিন সেজেছে রক্তিম ফুলে।
আমি তখনও অপেক্ষায়-
হঠাৎ চমকে হাতে-হাত রেখে,
মুচকি হেসে,
পাশে দাঁড়াবে,
আমি কাঁধে মাথা রেখে, দূরে তাকিয়ে আকাশ আর জলের মধুচন্দ্রিমা দেখবো!
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: হোর্হে লুইস বোর্হেস
আত্মহত্যা
রাতে একটি তারাও বাকি থাকবে না
থাকবে না আর রাত
আমি মরে যাবো এবং, আমার সাথে
অসহনীয় মহাবিশ্বের ভার
মুছে ফেলবো পিরামিড, পদকগুলো
মহাদেশ ও মুখগুলো
মুছে ফেলবো জমে থাকা অতীত
বানাবো ইতিহাসের ধুলো, ধুলোবালি
এখন আমি তাকিয়ে আছি চূড়ান্ত সূর্যাস্তের দিকে
শুনছি পাখির শেষ ডাক
কারো কাছেই অর্পণ করছি না আমার অসারতা
অণুগল্প
ভালবাসার অন্য একটা রঙ
প্রণবকুমার চক্রবর্তী
হাজতে বসে নরেনবাবু সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছিলেন। সকালে থানায় এসে বড়বাবু থানার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে, ওনাকে সামনে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন- কী ব্যাপার ? গতকাল যখন আপনাকে জিজ্ঞেস-বাদ করছিলাম, আপনি একটাও কথা বলেননি। মাথা নীচু করে বসে সব শুনছিলেন, আর মাঝে মাঝে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন। অথচ, সারারাত বসে কাঁদলেন ? কেন ?
নরেনবাবু শুধু ভারাক্রান্ত গলায় বললেন- স্যার? বলিনি তার কারন আছে। আসামির বক্তব্যের কোনও দাম আছে ? কেউ বিশ্বাস করবে ? কোনও এভিডেনশিয়ারী ভ্যালু আছে? যার জন্য চিন্তা করে আমি এই কাজটা করতে চেয়েছিলাম, সেটা শুধুমাত্র স্বপ্নের একটা ব্যাপার নয়। আমি নন্দিতার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই, ওটা করতে চেয়েছলাম। এখনও সেটাই করতে চাই। একটা সুযোগ দেবেন আমাকে? হাজত থেকে বের করে আপনার ওই পিস্তলটা আমার হাতে দিতে? ওকে খুন করে আমি হয় জেল খাটতে, না হয় মরতে চাই ।
-তার মানে আপনি স্ত্রীকে হত্যা করতে চান?
-হ্যাঁ স্যার।
-সে কী! কেন ?
-আমি স্যার ক্যান্সারের পেশেন্ট। আজ বাদে কাল মারা যাবো। তখন ওর কী হবে? ছেলেরা তো এখনই পারলে নন্দিতাকে হুট-আউট করে দেয় ! আমি মরে গেলে ওরা তো একমুহূর্তও অপেক্ষা করবে না। যে মহিলা জীবনে আমি ছাড়া কারোও মুখাপ্রেক্ষি হয়ে থাকেনি, সে কিভাবে বেঁচে থাকবে বলুন ?
-মাঝে মাঝে রাত্রে যে ঘুমন্ত স্ত্রীকে মারেন৷?
-সেটা আমি, নরেনবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন- স্বপ্নে দেখি যে ছেলেরা লোক লাগিয়ে ওদের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। আসলে, আমি স্ত্রীকে মারিনা। মারি ও লোকগুলোকে।
বড়বাবু কেসের কাগজ-পত্র সামনে নিয়ে বসে অবাক! কী উত্তর দেবে বুঝতে না পেরে, নিজের
মনেই বলে উঠলেন- অদ্ভুত ! ভালবাসার এটা একটা অন্য রঙ! এর কী বিচার সে করবে ?
ফটোফ্রেম
সঞ্জীব সেন
তখন রাত ন’টা। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল, বৃষ্টি হল বিষণ্নতার দোসর, একটানা বৃষ্টি মনকে নিয়ে যায় এক অনুভবের পৃথিবীতে, শরীর মন বিবশ করে ফেলে, বৃষ্টি থামার কোন সিন নেই, এদিকে ঘড়ির কাটা এগিয়ে যাচ্ছে আর উর্মিলার চিন্তাও বাড়িয়ে দিচ্ছে । ফোন করে অপূর্ব কে, ফোনটা ধরে নীল, আ্যসিস্টেন্ট, বলে দাদা এখন বিজি, নতুন একটা মিউজিক নিয়ে ডিসট্রাব, উর্মিলা জানায় খুব বৃষ্টি হচ্ছে, নীল বলে চিন্তা করবেন না বৌদি, হয়ে এসেছে, একটু পরেই আমরা বেরিয়ে পরব, ঠিকাছে! উর্মিলা ফোন রেখে দেয়, ডিজিটাল ফটোফ্রেমটার দিকে চোখ পরে, তিনটি ছবি পর পর পাল্টে যাচ্ছে। তারমধ্যে একটা বৃষ্টিতে ভিজছে আর দুটো সিমলায় তোলা হানিমুনে ওর আর অপূর্ব’র, বিয়ের কয়েকদিন পরে তোলা, বাইরে তাকায় বৃষ্টিটা সামান্য ধরেছে, লনে আসে, প্রথমে হাত ভেজায়, তারপর শরীরটাকে নিয়ে যায়, গুনগুন করে কয়েককলি রবীন্দ্রনাথ” সখী ভাবনা কাহারে বলে, সখী যাতনা কাহারে বলে...” বৃষ্টিটা অনেক কমে এসেছে, উর্মিলা ঘরে ফিরে আসে, সারে দশটা বাজে ফটোফ্রেমটা হাতে নেয় কি একটা ভাবে আবার রেখে দেয়, ফোন করে, এবার অপূর্ব ধরেছে, অপূর্ব জানায় ফিরছি আধঘন্টার মধ্যে। একটু দেরি হয়ে গেল, কথা শেষ হওয়ার আগেই উর্মিলা ফোন রেখে দেয়।
প্রবন্ধ
কবি ও কবিতা
শান্তম
কবিতা একটি মাধ্যম । প্রতিটি মাধ্যমের মত এটিও যোগাযোগ স্থাপন করে । এই যে যোগাযোগ তার পথিকৃৎ হলেন কবি । কিন্তু কবি কে ? প্রশ্নের উত্তর হয়ত দেওয়া সম্ভব নয় । তিনিও এই জগৎ ও জীবনের অংশমাত্র । জগৎ (জড়, জীব ) ও জীবনের সঙ্গে কবির সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে । তিনি জগৎ ও জীবন থেকে গ্রহণ করেন নিজের জন্যও । অপর মানব ও প্রকৃতির গ্রহণ বর্জন কে তিনি প্রত্যক্ষ করেন । অনুভব করেন। অনুভবকে রচনা করেন। তাই তিনি হয়ে ওঠেন একজন ভাষ্যকার। স্বাভাবিক ভাবেই কবিতায় থাকে অন্যদের সঙ্গে কবির নিজেরও চাওয়ার, পাওয়ার, না পাওয়ার ও না চাওয়ার এক বিচিত্র ভুবনের আবিষ্কার। আলো- অন্ধকারের যাত্রাপথে কবির ব্যক্তিক অনুভ‚তি স্পর্শ করে সমষ্টির এক বা অনেক অংশকে। ভুবনে ভুবনে ভাবনায় ভাবনায় এক যোগসূত্র তৈরি করেন কবি। সমূহ আবিষ্কারের মধ্যে আলোচিত আবিষ্কার বিষয় ভাবনায় ও প্রকাশভঙ্গিমায় কতখানি নতুন তা দিয়ে বোধ হয় কবিত্বের বিচার ঘটে। অপার রহস্যের কবিতা অঞ্চলে পৃথিবীর কোন ভাষার কোন কবিই সমগ্রের আবিষ্কার করতে পারেন নি। কোনও এক কবির পক্ষে তা সম্ভব কিনা! তা একমাত্র ভবিষ্যৎ বলবে। আবার সূ²তায় একটি কণার বিস্তারও অসীম । সেও যেন আর এক সমগ্র। তাই কোনও কবি বা তার সৃষ্টি সম্বন্ধে সোজাসুজি মতামত দেওয়া বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। প্রকৃতই একজন কবি পথের সন্ধান করতে থাকেন। এক একটি পথ হল এক একটি আবিষ্কার বা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা।
প্রথম সংখ্যা
নৈর্ব্যাক্তিক
আবু জাফর সৈকত
নৈর্ব্যাক্তিক ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে। সম্পাদক সুদীপ্ত সাইদ; প্রচ্ছদও করেছেন তিনি। নৈর্ব্যাক্তিক এর নামলিপি করেছেন দ্রাবিড় সৈকত।
দশক বিভাজনে কিংবা নির্দিষ্ট গোষ্ঠিবদ্ধতায় বিশ্বাসী নয় নৈর্ব্যাক্তিক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নতুন অচেনা মুখের দিকেই তাদের দৃষ্টি। ঐশ্বরিক কোন আধিপত্য কিংবা গুরুবাদকে তারা এড়িয়ে চলতে চান। পৃথিবীর সকল জীবিত কবি-সাহিত্যিকদের সমসাময়িক মনে করে নৈর্ব্যক্তিক।
কাগজটিতে কোন সূচী রাখা হয়নি। আট জন কবির কবিতা ও রুদ্র সায়কের গদ্য দিয়ে সাজানো সংখ্যাটি। হিজল জোবায়ের কবিতায় আমরা এক অসাধারণ গল্প খুঁজে পাই। পাঠকের সুবিধার্থে তুলে দিচ্ছি-
সূর্য ডোবার কালে এক বৃদ্ধ গাধা নদীর ধারে এসে পানি আরও ঘোলা করে/ নদীর ঘোলা জলে ভেসে ওঠে তার ঘোলামুখ/ নিজের মুখ ঘোলা ভেবে চিৎকারে ফেটে পড়ে/ অবশেষে মরে যায় সেই মূকবৃদ্ধ গাধা... [গোলাপী তুমি যামিনী রায়]
রজত সিকাস্তি’র ‘অপরিশীলিত আত্মস্তুতির বনজ ঔষধ’ সিরিজ কবিতা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। তবে উল্লেখ করতে চাইছি এর পরের কবিতা ‘নগর ভ্রমন কাহিনী’। শুরুতেই লিখেছেন-
‘কবিতার দেশ থেকে এসেছে’
এ কবিতায় কবি দুইটি জগৎ নির্মাণ করেছেন। একটি কবির নিজের জগৎ অন্যটি তার অপরিচিত জগৎ। সেই জগৎ সম্বন্ধে ধারনা দিতে গিয়ে কবি লিখেছেন-
... তুমি যাচ্ছ সেই/ নগরে সেখানে মানুষ অনেকটা আওয়াজ প্রবণ;/ লক্ষ করো সেখানে নারীরা উজ্জ্বল অতি/ জিহ্বার ভাজে ভাজে মৌচাক নিধনকারী ইশারা পোষে অনেক হিসেব করে দেখায় নিজ নিজ রোদ-বৃষ্টি।
মহিম সন্যাসী’র দ্বিতীয় কবিতাটি অপেক্ষাকৃত স্বতন্ত্র মনে হয়েছে-
আলোচিত জ্যোতিষ্কে উন্নত ন্যাকামির বিচি পাওয়া যায়। আলোচনা করলেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । আদিখ্যেতার অংকুর। দ্বিবীজপত্রী এই গ্রহের গুহায় মুখ বুজে থাকলেও ঈর্ষা পোয়াতি হয় প্রাকৃতিকভাবে। কাজেই কোদাল দিয়ে পায়ের নিচের মাটি সযত্নে খুঁড়ে নিজ নিজ চীনদেশ খুঁজে বের করা যাক। [অরণ্যভোগ, প্রথম সর্গ]
সাইয়েদ জামিল এ সময়ের এক পরিচিত নাম। গদ্য কবিতার ঢঙ্গে লেখা প্রত্যেকটি কবিতা ভাল লেগেছে। কবিতার শিরোনামগুলো উল্লেখ করলেই পাঠক বুঝবেন কবিতার অর্থ- উন্মাদ, বুলডোজার, মসজিদ ভেঙে যাবার দৃশ্য, ইতিহাস বিষয়ক প্রবন্ধ, হজরত গালিবের জন্য যৌন অনুসঙ্গহীন প্রেমের কবিতা। শেষ কবিতাটি উল্লেখ করছি-
... রাজপথে কুকুরের চোদাচুদি/ তবু মামুলি ব্যাপার।/ আর আমরা চুদতে গেলেই যতো দোষ! রাষ্ট্রীয়/ অন্ধকার এসে চারদিকে ঘোৎ ঘোৎ/ করো। জারি হয় রুল। সান্ধ্য আইন/ প্রেসিডেন্ট এতো পারো কুকুরের চোদাচুদি থামাও দেখি। [রাষ্ট্র বিরোধী গিটার]
কিশোর মাহমুদ চারখণ্ডে গদ্য ঢঙ্গে লিখেছেন শ্মশান স্মৃতি। উৎসর্গ করেছেন: ফাল্গুনী রায় ও শৈলেশ^র ঘোষকে। বিপ্রতীপ লড়াই-এ ব্যস্ত কবি সাম্য রাইয়ান শুদ্ধস্বরে পৌঁছে যাওয়া সমুদ্রের কথা। শূন্যতার খেলায় কবি ক্রমাগত ছুটছেন। তিন লাইনের একটা উদ্বৃতি দিচ্ছি-
সহজ-সরল কথাগুলো অনেক পেঁচিয়ে বলার/ অভ্যেস যাদের, তারা বুদ্ধিজীবী;/ আমরা কি আর বুঝি অতসব মিথ্যের ধোঁয়াজাল! [কলা বাগানে আনারস অথবা সিন্দাবাদের ভূত]
নিরন্তর খেরোখাতা আদিম থেকে লিখে চলেছেন কবি আহমাদ শামীম। শৈশবের ছবি এঁকেছেন কবিতায়-
দুপুরের পিঠ চুলকে স্কুল ছুটি দিয়েছে/ আইসক্রিম বালক শার্টের বোতাম তার/ঘাস ফড়িংয়ের ডানা, জুতোর ফিতায় বাধা/মাদার ফুরের ঘ্রাণ...
বইয়ের মাঝে ডুবে থাকা সমুদ্রে সাঁতার কেটে মৎসকুমারীদের শিখিয়েছে/ লাটিম ঘুরানোর কৌশল। [নিরন্তর খেরোপাতা]
সালেহনি শিপ্রা মিষ্টি হাসির কবি। আহমেদ শামীম যেখানে মৃত্যুর অভিমানে একা বাঁচেন সেখানে সালেহীন শিপ্রা লিখেন-
কখন যে মৃত্যু এলা আর চলেও গেল। মৃত একা অপেক্ষা করছে জীবিতের... [নৈ:শব্দে]
রুদ্র শায়ক এক উৎকৃষ্ট গদ্যকার। দেশীয় কবিতার শরীর নির্মাণের কথা বলতে গিয়ে লিখেেেছন- ‘উত্তর উপনিবেশিক সিম্ফনি ও কাব্যাখ্যান প্রকৃর্ষা। তার মূল বক্তব্য হচ্ছে- অতীতের সাথে অন্বয় রক্ষা করে অগ্রসর হতে হবে আর এক্ষেত্রে ছোট কাগজেই আস্তা রেখেছেন গদ্যকার।
দুই ফর্মার কাগজটির মূল্য রাখা হয়েছে ৩০ টাকা। যোগাযোগের ঠিকানা ২৭৬, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় মার্কেট, কাটাবন, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment