সৌম্যজিৎ আচার্য

সৌম্যজিৎ আচার্য

সৌম্যজিৎ আচার্য

তোমাকে বলা হয়নি

তোমাকে বলা হয়নি, শেষ ট্রেনটা পেয়ে গেছি। ট্রেন একটা অচেনা প্ল্যাটফর্মে এসে থেমেছে। এ প্ল্যাটফর্মে নদী আছে। তাই নেমে যাচ্ছি। নদীতে পা ডুবিয়ে গোটা শীতকাল এবার এখানেই কাটাব আর আমার পা শ্যাওলা হয়ে ভেসে যাবে মোহনায়...

তোমাকে বলা হয়নি, চিড়িয়াখানা আর জেলখানার পাঁচিল দুটোই সমান উঁচু। আমি তাই ওদের নেমপ্লেট বদলে দিয়েছি। দুটোর পাহাড়াদারই আমাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ওদের বোলো না, আজ রাতে আমি অ্যাসাইলামের দেয়ালে হিসি করতে যাচ্ছি। ও দেয়ালেও বৃষ্টি হয়নি বহুদিন...

তোমাকে বলা হয়নি, শব্দরা চায়নি, তবু লেখা ছেড়ে চলে যাচ্ছি দূরে। কবিতা আমায় ফ্যাকাসে করে দিয়েছে। আমার প্রতিটা কবিতাই ও-পজিটিভ। আমি এত রক্তাক্ত লেখা লিখতে চাইনি কোনোদিন... কাউকে বোলো না, আজকাল আমার সারা গায়ে জ্যোৎস্না গাছ বেড়ে উঠছে...আলো ভরে উঠেছে... আমার আর চাঁদ ভাল লাগছে না। আমি জলের নীচে সাঁতার কেটে চলে যাচ্ছি মোহনায়...

No comments:

Post a Comment

সর্বশেষ

শিল্প সাহিত্য ১৩৩

সোমবার   ৯ই ভাদ্র ১৪২৭ , ২৪ই আগষ্ট ২০২০   কবিতা বিনয় কর্মকার ছবির গল্প   ভাতের ছবি আঁকতেই, ছিটকে পড়ে কালির দোয়াত! লালরঙা স্রোত, সাঁতারকাট...

সর্বাধিক