সুদেব চক্রবর্তী

সুদেব চক্রবর্তী

বাজিকর

আমি তো চ্যাং পুং করা শাং বংশীয় নাগড়!
অন্তঃপুরে রমনীদের কাছে শিখেছিলাম
ক্যাসিনোর যাবতীয় ফাটুস ফুটুস...

লোডশেডিংয়ের বাংলায় কে বসে আছো সলিটেয়ার খুলে? সেট হয়ে থাকো- উপসেট হবার জন্য মগজে চলছে
গরিষ্ঠ সাধারণ গুনিতকের লাল দৌড়।

স্পেডের টিক্কা জুটলেই চলে আসব
গ্যাম্বলিং টেবিলে- এসো পাঞ্চালী,
মিটিয়ে দেবো কুরুক্ষেত্রের সব অপমান।

বোধ

বোধের মূল্য না দেয়া বোধজীবিরা
প্রশ্ন তুলছে মূল্যবোধ নিয়ে!

উচ্চ মূল্যহারের শতকে প্রেমের বাজার সস্তা, তবু মিডিয়ায় ভাসে মুদ্রাস্ফীতির খবর।

বোধের শাখায় বসে গান গায় বিরহী পাখি;
চোখে জল আসে না বলে মেঘও জমে না,
ধেয়ে আসে মেঘতাড়–য়ার দল।

সুবোধরা পালায়- নির্বোধরা ঘুমায়;

মূল্যের অভাবে হারিয়ে যায়
আমাদের সব বোধ।

আয়না

হাজার বছর আগেও তুমি জলের প্রতিবিম্বে চুল আঁচড়াতে; চুলের মায়ায় সরিসৃপ হয়ে ছুটে আসতো ঢেউ- নির্বোধ মাছের উত্তেজনায় পলি মাটির কণায় ঘোলাটে হতো উপরিভাগ,

আমরা তো কত শুক্লপক্ষে চলে গেছি সেই নদীর পাড়ে- চাঁদকে স্বাক্ষী করে জলের স্বচ্ছতায় ধরা পড়েছে আমাদের ওষ্ঠপ্রাশন,

এই যে জলের প্রতিবিম্বে দাগ পড়তো পলি মাটির- সর্পিল ঝির ঝির...
এই যে সেই জলজ আয়নায় মুখ দেখতাম গভীর রাতে...
একটুও কি পাপ জন্মেছিল আকাশের জার্নালে?

অথচ আজ রাতের বেলা আয়না দেখা বারণ- কলঙ্ক বাড়ে নাকি জীবনের ভাঁজপত্রে!
আয়না ভেঙে গেলেও নাকি ঝুলে থাকে অশনিসংকেত!

বাস ভাবনা

শহুরে লোকাল বাস দাঁতে দাঁত চেপে হাঁটে- তার চোখে মুখে পালংকীর উঠোনে মাথায় প্যানোয়া বাঁধা তরুণীর হামবড়া ভাব- যে আড়চোখে ঢেকে রাখে অফিসযাত্রীর বিরক্তিপত্র।

আর মফস্বলের এক্সপ্রেস শার্ট খুলে দৌঁড়ায়-হাইওয়ের পরিবহন অমন নয়-
হা করে ছোটে নেটিজন বালককে ঘুম পাড়িয়ে...

বাসেরা যৌবন হারালে
ঠাঁই নেয় মফস্বলের রাস্তায়,
একদিন যার অহংকার ছিল
এখন তার সাই সাই শরীরে
নিরক্ষর হেল্পার পাঁচ আঙুলের চাবুক মারে।

No comments:

Post a Comment

সর্বশেষ

শিল্প সাহিত্য ১৩৩

সোমবার   ৯ই ভাদ্র ১৪২৭ , ২৪ই আগষ্ট ২০২০   কবিতা বিনয় কর্মকার ছবির গল্প   ভাতের ছবি আঁকতেই, ছিটকে পড়ে কালির দোয়াত! লালরঙা স্রোত, সাঁতারকাট...

সর্বাধিক