শিল্প সাহিত্য ৭৮
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: পাবলো পিকাসো
৮-৯ নভেম্বর ৩৫
বুলফাইটারের
বিদ্যুতালোর
বাল্বজ্যাকেট
অনুস্যূত হয়
সূক্ষ্ম সুইয়ের দ্বারা
কুহেলিকা
উদ্ভাবিত
ষাঁড়ের দ্বারা
১৪ নভেম্বর ৩৫
ইউজেনিয়ার সুগন্ধ
গিটারের তারের
ছোট্ট নিজস্ব প্রার্থনালয়
আচ্ছাদিত
পোস্তদানা
কালো
পান্নায়
২৪ মার্চ ৩৫
পানপাত্র
করপত্র
আমার স্ত্রী
উৎফুল্ল
সশব্দে হাসা সিকতা
২ জুলাই ৩৮
বিন্দু
বিন্দু করে
ফ্যাকাশে নীল
খসে পড়ে
গোলাপের জালিগুলোতে
সবুজ কাজুবাদামের নখাঘাতে
৬ অক্টোবর ৩৬
৩০ এপ্রিল ক্যানভাস # ১৫ ফুট চিত্রশিল্পে মেয়েটি আয়নায় দেখছে নিজেকে
নিচে রাখে একটি চিরুনি কিছু চুল এর দাঁতে এবং তার চুলের মধ্যে কিছু উকুন
পাশাপাশি কিছু উকুন এবং যদি সম্ভব হয় তার প্রকাশ্য চুলে কয়েকটা চুলের কাঁকড়া
(পরিকল্পনায় যুক্ত করতে মনোমুগ্ধকর চিন্তা)
মূল: পাবলো পিকাসো
৮-৯ নভেম্বর ৩৫
বুলফাইটারের
বিদ্যুতালোর
বাল্বজ্যাকেট
অনুস্যূত হয়
সূক্ষ্ম সুইয়ের দ্বারা
কুহেলিকা
উদ্ভাবিত
ষাঁড়ের দ্বারা
১৪ নভেম্বর ৩৫
ইউজেনিয়ার সুগন্ধ
গিটারের তারের
ছোট্ট নিজস্ব প্রার্থনালয়
আচ্ছাদিত
পোস্তদানা
কালো
পান্নায়
২৪ মার্চ ৩৫
পানপাত্র
করপত্র
আমার স্ত্রী
উৎফুল্ল
সশব্দে হাসা সিকতা
২ জুলাই ৩৮
বিন্দু
বিন্দু করে
ফ্যাকাশে নীল
খসে পড়ে
গোলাপের জালিগুলোতে
সবুজ কাজুবাদামের নখাঘাতে
৬ অক্টোবর ৩৬
৩০ এপ্রিল ক্যানভাস # ১৫ ফুট চিত্রশিল্পে মেয়েটি আয়নায় দেখছে নিজেকে
নিচে রাখে একটি চিরুনি কিছু চুল এর দাঁতে এবং তার চুলের মধ্যে কিছু উকুন
পাশাপাশি কিছু উকুন এবং যদি সম্ভব হয় তার প্রকাশ্য চুলে কয়েকটা চুলের কাঁকড়া
(পরিকল্পনায় যুক্ত করতে মনোমুগ্ধকর চিন্তা)
শিল্প সাহিত্য ৭৪
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মৌগিনস সুবিশাল দিগন্ত
১২ সেপ্টেম্বর ৩৭
মূল: পাবলো পিকাসো
জাহাজঘাটে বিহারের শেষে
ক্যাসিনোর পিছনে ভদ্রলোক
যথেষ্ট বিনীত পরিপাটি খুব
তার ভাজা
গলিত মলমূত্রের ব্যাগ খায়
তার প্যান্টের ডোরাকাটা
থুথু ফেলে অমায়িকভাবে
সমুদ্রের মুখে
জলপাইয়ের দাগ
তার প্রার্থনাকে
মাল্যাকারে সুতায় গাঁথে
ফ্ল্যাগ গ্রিলিং এর রশিতে
শপথ বাক্য শেষে
যা আলোকিত করে দৃশ্য
সংগীতটি আড়াল করে
তার পাকস্থলী রঙ্গভূমিতে
এবং মুক্ত করে
এর ভয়
ভীমরূলের দেহ থেকে
ছড়িয়ে পড়ে পা
পাখাটি তার মোম গলায়
নোঙরের উপর
মৌগিনস সুবিশাল দিগন্ত
১২ সেপ্টেম্বর ৩৭
মূল: পাবলো পিকাসো
জাহাজঘাটে বিহারের শেষে
ক্যাসিনোর পিছনে ভদ্রলোক
যথেষ্ট বিনীত পরিপাটি খুব
তার ভাজা
গলিত মলমূত্রের ব্যাগ খায়
তার প্যান্টের ডোরাকাটা
থুথু ফেলে অমায়িকভাবে
সমুদ্রের মুখে
জলপাইয়ের দাগ
তার প্রার্থনাকে
মাল্যাকারে সুতায় গাঁথে
ফ্ল্যাগ গ্রিলিং এর রশিতে
শপথ বাক্য শেষে
যা আলোকিত করে দৃশ্য
সংগীতটি আড়াল করে
তার পাকস্থলী রঙ্গভূমিতে
এবং মুক্ত করে
এর ভয়
ভীমরূলের দেহ থেকে
ছড়িয়ে পড়ে পা
পাখাটি তার মোম গলায়
নোঙরের উপর
শিল্প সাহিত্য ৭৩
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫
ডন জেইম সাবার্তেস এর জন্য তাঁর সাধু দিবসে
মূল: পাবলো পিকাসো
১.
আমার দাদির বড় বলগুলো
জ্বলজ্বল করে কাঁটাঝোপের মাঝে
এবং যেখানে যুবতী মেয়েরা ঘুরে বেড়ায়
ঘুরন্ত শানপাথর তাদের শিষ-ধ্বনি শান দেয়
২.
সসিজ যা তুই ঠেলে দিস
তোর সেনোরার পোঁদের উপর
অনুভূত কামফলের মতো
এক্সত্রেমাদুরা’র মতো রুদ্ধশ্বাস
৩.
মোরগের টকটকে লাল
আর গভীর ক্ষতের যাজক
রসুন ও অর্থের জন্য এক চোখসহ
ভালোভাবে ঝুলন্ত ছেলেদের যুগল
৪.
সেই চেয়ারগুলোতে যেখানে গীর্জার সন্ন্যাসীনি ও ঘণ্টাবাদক
ফেলেছিলো তাদের প্যান্ট
হিসহিস করে গরম মধু তাদের পোঁদে
যতক্ষণ না তারা তাদের ক্রুশ টানে ও নাচে
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫
ডন জেইম সাবার্তেস এর জন্য তাঁর সাধু দিবসে
মূল: পাবলো পিকাসো
১.
আমার দাদির বড় বলগুলো
জ্বলজ্বল করে কাঁটাঝোপের মাঝে
এবং যেখানে যুবতী মেয়েরা ঘুরে বেড়ায়
ঘুরন্ত শানপাথর তাদের শিষ-ধ্বনি শান দেয়
২.
সসিজ যা তুই ঠেলে দিস
তোর সেনোরার পোঁদের উপর
অনুভূত কামফলের মতো
এক্সত্রেমাদুরা’র মতো রুদ্ধশ্বাস
৩.
মোরগের টকটকে লাল
আর গভীর ক্ষতের যাজক
রসুন ও অর্থের জন্য এক চোখসহ
ভালোভাবে ঝুলন্ত ছেলেদের যুগল
৪.
সেই চেয়ারগুলোতে যেখানে গীর্জার সন্ন্যাসীনি ও ঘণ্টাবাদক
ফেলেছিলো তাদের প্যান্ট
হিসহিস করে গরম মধু তাদের পোঁদে
যতক্ষণ না তারা তাদের ক্রুশ টানে ও নাচে
শিল্প সাহিত্য ৭১
২৪-২৮ নভেম্বর ৩৫
মূল: পাবলো পিকাসো
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
আগুনের জিহ্বা বাতাস দেয় মুখে
বাঁশির ভিতর
পেয়ালা যা গান গায় এক খোঁট
নীল ছুরির ক্ষত
আলতোভাবে আলতোভাবে
বসানো বিছানার চোখে
অন্তর্লিখিত এর মাথার ভেতর জেসমিন সুশোভিত
ফোলার অপেক্ষায় ওড়না
স্ফটিক টুকরা
আলখাল্লার ভাঁজে বাতাসে মোড়ানো দুই হাতলের তরোয়াল
ঘামছে মাথা
অন্ধ ব্যক্তির মাঝে রুটি তুলে দেওয়া এবং বেগুনি রঙের ঘুঘু
এর অসদাচারণ জ্বলন্ত ঠোঁটের বিরুদ্ধে শক্তভাবে ঠাসা
শিঙের সাথে দুমড়ানো
বিদায়ী অঙ্গভঙ্গি দিয়ে স্পোকিং করা ক্যাথিড্রল
থাকা ছাড়াই মূর্ছা যাওয়া তার হাতে
একটি পলক যা ফোটে একান্তে
প্রভাত রেডিও যা তার চুম্বনে
ছবি তোলে শয্যাশায়ী রোদের
মৃত্যুর সময় থেকে বের করে সুগন্ধ
এবং চলে যায় কোনো পৃষ্ঠা জুড়ে উড্ডয়নে
ফুলকে করে তোলে অশ্রুসিক্ত
এবং টেনে এনে দেয় দীর্ঘশ্বাসের ডানার মাঝে
এবং ভয় পায় যা এখনো হাসতে পারে
ছুরি যা লাফ দেয় আনন্দের জন্য
ঠিক এখন এই দিন পরিত্যক্ত ভাসমান
যেকোনো উপায়েই এটা হতে চায় যথার্থ
এবং কূপের শীর্ষে প্রয়োজনীয় মুহুর্ত
একটি কান্না গোলাপ
সেই হাতের জন্য রঙিন যা তাকে ছুড়ে ফেলে নিচে
একটি ছোট্ট অভিনয় খ্রিস্টীয় প্রেমের
মূল: পাবলো পিকাসো
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
আগুনের জিহ্বা বাতাস দেয় মুখে
বাঁশির ভিতর
পেয়ালা যা গান গায় এক খোঁট
নীল ছুরির ক্ষত
আলতোভাবে আলতোভাবে
বসানো বিছানার চোখে
অন্তর্লিখিত এর মাথার ভেতর জেসমিন সুশোভিত
ফোলার অপেক্ষায় ওড়না
স্ফটিক টুকরা
আলখাল্লার ভাঁজে বাতাসে মোড়ানো দুই হাতলের তরোয়াল
ঘামছে মাথা
অন্ধ ব্যক্তির মাঝে রুটি তুলে দেওয়া এবং বেগুনি রঙের ঘুঘু
এর অসদাচারণ জ্বলন্ত ঠোঁটের বিরুদ্ধে শক্তভাবে ঠাসা
শিঙের সাথে দুমড়ানো
বিদায়ী অঙ্গভঙ্গি দিয়ে স্পোকিং করা ক্যাথিড্রল
থাকা ছাড়াই মূর্ছা যাওয়া তার হাতে
একটি পলক যা ফোটে একান্তে
প্রভাত রেডিও যা তার চুম্বনে
ছবি তোলে শয্যাশায়ী রোদের
মৃত্যুর সময় থেকে বের করে সুগন্ধ
এবং চলে যায় কোনো পৃষ্ঠা জুড়ে উড্ডয়নে
ফুলকে করে তোলে অশ্রুসিক্ত
এবং টেনে এনে দেয় দীর্ঘশ্বাসের ডানার মাঝে
এবং ভয় পায় যা এখনো হাসতে পারে
ছুরি যা লাফ দেয় আনন্দের জন্য
ঠিক এখন এই দিন পরিত্যক্ত ভাসমান
যেকোনো উপায়েই এটা হতে চায় যথার্থ
এবং কূপের শীর্ষে প্রয়োজনীয় মুহুর্ত
একটি কান্না গোলাপ
সেই হাতের জন্য রঙিন যা তাকে ছুড়ে ফেলে নিচে
একটি ছোট্ট অভিনয় খ্রিস্টীয় প্রেমের
শিল্প সাহিত্য ৫২
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: জঁ ককতো
ষাঁড়-লড়াইকারী
ভেনিসের রাণী পেপিতা
যখন তুমি জানালার ঝাপের নিচে যাও
সব গন্ডোলার মাঝিরা ডেকে ওঠে:
সতর্ক থাকো
ষাঁড়-লড়াইকারী!
তোমার হৃদয় শাসন করে না কেউ
রাজপ্রাসাদে যেখানে তুমি ঘুমাও
এবং তোমার সাথে বৃদ্ধ দিদিমনি অপেক্ষারত
ষাঁড়-লড়াইকারীর জন্য
ষাঁড়-লড়াইকারী, সাহসীদের মধ্যে দুঃসাহসী
যখন ছিলেন পিয়াজা সান মার্কোতে
বন্য, টসটস করে লালা ফেলানো ষাঁড়
অপহত হয় তোমার ফলক দ্বারা
অহংকারের নয় সেই আদর
সোনালী স্কন্ধাবরণের নিচে তোমার হৃদয়
যা কিনা যুবতী দেবীর জন্য
যে পোড়ায় তোমার আবেগ, ষাঁড়-লড়াইকারী
মিষ্টি স্প্যানিশ মেয়ে
তোমার গন্ডোলায়
নৃত্যরত উল্লাসিত
জরির ওড়নার নিচে
জ্বলজ্বলে চোখ
চকচকে মুখ
এটাই পেপিতা
আগামীকাল সিগারেট দিবস
এটা দিযে যুদ্ধ মৃত্যুর সাথে
খালটি পাল দিয়ে পূর্ণ
ষাঁড়ের লড়াই উদযাপন
একাধিক ভেনিসিয়ান সৌন্দর্য
তোমার অদৃষ্টকে জানতে কাঁপে থরো থরো
কিন্তু তুমি অবজ্ঞা করো তাদের সমস্ত জরি-ফিতা
কষ্ট পাও তুমি, ষাঁড়-লড়াইকারী
যেহেতু দেখা যাচ্ছে না তার উপস্থিতি
একটি লুকানো কমলা গাছের পেছনে
পেপিতা তার জানালায় একা
তুমি ভাবো প্রতিশোধের কথা
তোমার পাজামার নিচে আন্ডারওয়্যারে
তোমার ছুরি
হৃদয়ে জ্বালাতন করে সন্দেহ
একাকী ঢেউয়ের শোরগোলে
কেঁদে যাও তুমি
অসংখ্য অশ্বারোহী
দুর্দান্ত সঙ্ঘবদ্ধ ভিড়
ধারণ ক্ষমতায় পরিপূর্ণ রণাঙ্গন
হাজার লোকেরা আসতে থাকে
তোমাকে উৎসাহ দিতে, ষাঁড়-লড়াইকারী
তাই রণাঙ্গনে সে প্রবেশ করে
শাসনকর্তার চেয়েও সুরক্ষিত হয়ে
কিন্তু সে হাঁটতে পারে কদাচিৎ
দরিদ্র ষাঁড়-লড়াইকারী
তার মনমড়া স্বপ্নে
সবার চোখের সামনে
মরে যাওয়ার চেয়ে আর বেশি কিছু নেই
যেহেতু সে তার শোকের মধ্যে
শিঙগুলির ঢুকে যাওয়া অনুভব করে
ক্লিষ্ট কপাল
পেপিতাকে দেখে সে
সেখানে বসে
তাকিয়ে থাকে স্থির
অর্পন করে দেহ
ভেনিসের প্রাচীনতম ডোজ এর নিকট
হাসাহাসি ষাঁড়-লড়াইকারীর প্রতি
শিল্প সাহিত্য ৫১
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: জঁ ককতো
মারি লোরানসঁন
ফাউস ও কিউবিস্ট
এদুয়ের মধ্যে ফাঁদে পড়ে
ছোট্ট এক হরিণী
ফ্যাঁকাসে বনভূমি
বিবর্ণ বন্ধুর
নাক
অসংখ্য ফ্রান্স যুবতী
ক্লারা ডি’এলবিউজ
সোফি ফিচিনি
শীঘ্রই শেষ হবে যুদ্ধ
অনুরাগী প্রাণীসম্পদ পালনের জন্য
সামান্য ঝাপটায় তোমার পাখনার
দীর্ঘজীবী হও ফ্রান্স!
ধীরগতির রণতরী টরেইন
বাষ্পচালিত জলযান দ্বারা
অগ্রগমন করে অন্তহীনভাবে
এর উন্মুক্ত বাতাসের সমস্ত গৌরবের স্বর্ণ
দিতে হবে একে
কুণ্ডলিত জলের ভ্রমণ পূর্বাবস্থায় ফেরাতে
শিল্প সাহিত্য ৪৯
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: জঁ ককতো
শ্রদ্ধা এরিট সাটির প্রতি
মিসেস হেনরি রুশো
দড়িতে বাঁধা বেলুনে ওঠেন
হাতে ধরেন একটি গুল্ম
এবং কাস্টমস অফিসার রুশো
পান করেন ক্ষুধা-উদ্রেককারী পানীয়
চাঁদের সাথে সাথে ফুলে ওঠে
এলোভেরা
হাতলওয়ালা চেয়ার
সুন্দর ওই স্যুট এবং
সুন্দর পাতার উপর সুন্দর চাঁদ
আফ্রিকান সিংহ
বস্তার মতো বড়ো তার পেট
আফ্রিকার সিংহ
প্রজাতন্ত্রের পাদদেশে
খেয়ে ফেলে গাড়ির ঘোড়া
অন্ধকার সাপুড়ের বাঁশিতে
প্রবেশ করে চাঁদ
তোলপাড়, ঘুমন্ত অবন্থায়,শোনে
মিষ্টি বাঁশির বাইরে বেরিয়ে আসে
নাশপাতি আকৃতির কামড়
মূল: জঁ ককতো
শ্রদ্ধা এরিট সাটির প্রতি
মিসেস হেনরি রুশো
দড়িতে বাঁধা বেলুনে ওঠেন
হাতে ধরেন একটি গুল্ম
এবং কাস্টমস অফিসার রুশো
পান করেন ক্ষুধা-উদ্রেককারী পানীয়
চাঁদের সাথে সাথে ফুলে ওঠে
এলোভেরা
হাতলওয়ালা চেয়ার
সুন্দর ওই স্যুট এবং
সুন্দর পাতার উপর সুন্দর চাঁদ
আফ্রিকান সিংহ
বস্তার মতো বড়ো তার পেট
আফ্রিকার সিংহ
প্রজাতন্ত্রের পাদদেশে
খেয়ে ফেলে গাড়ির ঘোড়া
অন্ধকার সাপুড়ের বাঁশিতে
প্রবেশ করে চাঁদ
তোলপাড়, ঘুমন্ত অবন্থায়,শোনে
মিষ্টি বাঁশির বাইরে বেরিয়ে আসে
নাশপাতি আকৃতির কামড়
শিল্প সাহিত্য ৪৮
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: জঁ ককতো
দেবদূত অর্টোবাইস
১.
দেবদূত অর্টোবাইস পদক্ষেপে
জলযুক্ত রেশমী ডানায়
আঘাত করে আমায়
সতেজ করেস্মৃতি
বদমাশ, নিশ্চল
ভেঙে যাওয়া আকিক পাথরের উপর
একাকি আমার সাথে, গাধা, তোমার অতিপ্রাকৃতো পালানো
২.
দেবদূত অর্টোবাইস
অবিশ্বাস্য বর্বরতায়
ঝাঁপিয়ে পড়েআমার উপর
দোহাই, এতো জোরে ঝাঁপ দিও না
বদমাশ সাথী, লম্বা ফুলের
দৈহিক উচ্চতা
রেখে দিয়েছো তুমি আমায়
খুব খারাপ আচরণ
টেক্কা ধরলাম আমি, দেখছো?
কী আছে তোমার?
৩.
দেবদূত অর্টোবাইস
ধাক্কা দেয় আমায়
আর আপনি, প্রভু যীশু, কৃপা
তুলে নাও আমায়, তোমার জোরালো হাঁটুর কোণে
উঠিয়ে নাও আমায়
নিছক আনন্দ, বৃদ্ধাঙুল
খুলে দাও দড়ি
আমি মরি
৪.
দেবদূত অর্টোবাইস ও দেবদূত সেজেন্ট
নিহত হয় যুদ্ধে- কি আশ্চর্যজনক
নামকেলি
কাকতাড়ুয়া চরিত্র
ইশারায় ভয় নেই যার কোনো
স্বর্গীয় চেরি গাছগুলোতে চেরিগুলি
গির্জার ভাঁজ-দরজার নিচে
হ্যাঁ সম্মতির ইশারায় অভ্যস্ত
৫.
আমার অভিভাবক দেবদূত, অর্টোবাইস
আমি তোমাকে পাহারা দেই
আমি তোমাকে আঘাত করি
আমি তোমাকে ভেঙে ফেলি
আমি তোমার পাহারা বদলাই
প্রতি ঘণ্টায়
পাহারায়, গ্রীষ্ম!
চ্যালেঞ্জ করছি তোমাকে
যদি তুমি মানুষ হও
মেনে নাও তোমার সৌন্দর্য
সাদা সীসার দেবদূত ধরা পড়ে একটি ছবিতে
ম্যাগনেসিয়ামের একটি বিস্ফোরণ দ্বারা
শিল্প সাহিত্য ০৯
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
মূল: জঁ ককতো
দেবদূত অর্টোবাইস
১.
দেবদূত অর্টোবাইস পদক্ষেপে
জলযুক্ত রেশমী ডানায়
আঘাত করে আমায়
সতেজ করেস্মৃতি
বদমাশ, নিশ্চল
ভেঙে যাওয়া আকিক পাথরের উপর
একাকি আমার সাথে, গাধা, তোমার অতিপ্রাকৃতো পালানো
২.
দেবদূত অর্টোবাইস
অবিশ্বাস্য বর্বরতায়
ঝাঁপিয়ে পড়েআমার উপর
দোহাই, এতো জোরে ঝাঁপ দিও না
বদমাশ সাথী, লম্বা ফুলের
দৈহিক উচ্চতা
রেখে দিয়েছো তুমি আমায়
খুব খারাপ আচরণ
টেক্কা ধরলাম আমি, দেখছো?
কী আছে তোমার?
৩.
দেবদূত অর্টোবাইস
ধাক্কা দেয় আমায়
আর আপনি, প্রভু যীশু, কৃপা
তুলে নাও আমায়, তোমার জোরালো হাঁটুর কোণে
উঠিয়ে নাও আমায়
নিছক আনন্দ, বৃদ্ধাঙুল
খুলে দাও দড়ি
আমি মরি
৪.
দেবদূত অর্টোবাইস ও দেবদূত সেজেন্ট
নিহত হয় যুদ্ধে- কি আশ্চর্যজনক
নামকেলি
কাকতাড়ুয়া চরিত্র
ইশারায় ভয় নেই যার কোনো
স্বর্গীয় চেরি গাছগুলোতে চেরিগুলি
গির্জার ভাঁজ-দরজার নিচে
হ্যাঁ সম্মতির ইশারায় অভ্যস্ত
৫.
আমার অভিভাবক দেবদূত, অর্টোবাইস
আমি তোমাকে পাহারা দেই
আমি তোমাকে আঘাত করি
আমি তোমাকে ভেঙে ফেলি
আমি তোমার পাহারা বদলাই
প্রতি ঘণ্টায়
পাহারায়, গ্রীষ্ম!
চ্যালেঞ্জ করছি তোমাকে
যদি তুমি মানুষ হও
মেনে নাও তোমার সৌন্দর্য
সাদা সীসার দেবদূত ধরা পড়ে একটি ছবিতে
ম্যাগনেসিয়ামের একটি বিস্ফোরণ দ্বারা
শিল্প সাহিত্য ০৯ বুধবার ৯ই বৈশাখ ১৪২৭, ২২ই এপ্রিল ২০২০
মূল: হোর্হে লুইস বোর্হেস
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
চতুষ্পদী শ্লোক
অন্যান্য সবাই মারা গেলো, তবে সব ঘটেছে অতীতে
সময়টা এখন সুপ্রসন্ন মৃত্যুর জন্য
আমিও কি হতে পারি তা, ইয়াকুব আলমনসুরের একটি বিষয়
আমি কি মরে যাবো, যেভাবে মরেছে গোলাপ, অ্যারিস্টটল?
শিল্প সাহিত্য ০৮ মঙ্গলবার ৮ই বৈশাখ ১৪২৭, ২১ই এপ্রিল ২০২০
মূল:
জঁ ককতো
ভাষান্তর:
কায়েস সৈয়দ
শৈশব স্মৃতি
রাতে একটি গোলাপ
সামনে এগিয়ে যায়,
সমস্ত আলো বন্ধ
যদি কিছু ঘটতো তবে
অপেক্ষা করা হতো ভোর পর্যন্ত
তোমার মা বাদামকে সোনালী রঙে এঁকেছেন
তোমার ক্রিসমাস গাছের জন্য
নিচের প্রান্তে জুতোরা
নিয়ন্ত্রণ করে আকাশ
সামনে,
মূল্যবান শৈশব ভ্রমণ
করেছে প্রজ্জ্বলিত
পরীদের লিভারপুল
দেখতে চমৎকার
একটি মশারি
তুষারের মতো,
তুমি সেখানে মরো
বিশেষত তারাটি জ্বলে উঠলে
চিমনির ডানাগুলি ঝাপটাতে থাকে
শিল্প সাহিত্য ৪৭ শনিবার ১৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৩০ই মে২০২০
মূল: : জঁ ককতো
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
সার্কাসের শিশু
বংশীবাদকের একজন, পোলকা
চাবায় নরম মিঠাই, কড়া মিষ্টির চকলেট, পুদিনার লজেন্স
অবকাশ; খুরের গন্ধ
চমৎকার রেশমী কাপড়ের উপহাস পাখি নিহত হয় ড্রামের বাজনায়
হামবার্গ আঙুর, বিয়ারের গ্লাস, রাস্পবেরি ফলের রস
নিজের হাত পাখি ধরার ফাঁদ
অন্তর্বর্তী সংগীত, নীল ইউনিফর্ম
মৃত্যুর প্রশংসা গেয়েযায় ফাঁদ
শিল্প সাহিত্য ৪৫ বৃহস্পতিবার ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ই মে২০২০
মূল: জঁ ককতো
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
সুন্দর
ঝাঁকুনি দিয়ে পান করি ঠাণ্ডা জল
ছুরির আচমকা ধাক্কা
গ্রহণ করি অন্য পানীয়
ওহ গরীয়ান অশ্বারোহীদের শোভাযাত্রা
শরীর জুড়ে ছোটে রাতে
ছিটা ছিটা জল
বেগোনিয়া ফুলেদের ভর
কেউ বলতে পারে ঘাসের মধ্যে আছে
চিংড়ির ভেজা টুকরো
সমুদ্রের গভীরে
একটি সাদা গাছে
দুঃখের সাথে গান গায় দুটি মাছ
কিন্তু তাদের গান দুঃখজনক নয়
কখনোই পাবে না সমুদ্রের দেবী
পোনা মাছের দুর্দান্ত মিছির
শিল্প সাহিত্য ০৫ শনিবার ৫ইা বৈশাখ ১৪২৭, ১৮ই এপ্রিল ২০২০
মূল: মাও সে তুঙভাষান্তর: কায়েস সৈয়দতিনটি ছোট কবিতা(শিহ লিউ জু লিঙ এর সুরের প্রতি ১৯৩৪-১৯৩৫)
১.পর্বতমালা!চাবুক মারি আমার ক্ষিপ্র ঘোড়ায়, জিন লাগাই পিঠেমাথা ঘুরাই চমকেআকাশ আমার উপরে তিন ফুট তিন২.পর্বতমালা!বিপর্যস্ত সমুদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের বয়ে যাওয়ার মতোহাজারো ঘোড়ার মতো যুদ্ধের মাথায়পুরো দাপটে৩.পর্বতমালা!স্বর্গের নীলকে বিদ্ধ করা, তীক্ষè তোমার তীরের হুলপরে যেতে পারে আকাশকিন্তু তোমার শক্তিমত্তায় দিয়ে যায় সমর্থনশিল্প সাহিত্য ০৪ শুক্রবার ৪ঠা বৈশাখ ১৪২৭, ১৭ই এপ্রিল ২০২০
মূল: মাও সে তুঙভাষান্তর: কায়েস সৈয়দকুয়াঙচঙ রোডে(চিয়েন জু মু লাল হুয়া এর সুরের প্রতি- ফেব্রæয়ারি ১৯৩০)বিস্তীর্ণ সমস্তপৃথিবী সাদাতুষারের পথ অধীর আগ্রহে নিঙড়িয়ে যাই আমরাআমাদের মাথার উপর আবছাভাবে আবির্ভূত হয় দুরারোহ পাহাড়পার হই সুবিদিত গিরিপথ, বাতাসে দোল খায় লাল পতাকাকোথায় আবদ্ধ আমরা?তুষার বয়ে গেছে কান নদীর কাছেগতকাল আদেশ দেওয়া হয়েছেএক লক্ষ শ্রমিক ও কৃষক লং মার্চ করে কিয়ানেশিল্প সাহিত্য ০৩ বৃহস্পতিবার ৩রা বৈশাখ ১৪২৭, ১৬ই এপ্রিল ২০২০
মূল: মাও সে তুঙঅনুবাদ: কায়েস সৈয়দহলুদ ক্রেন টাওয়ার(পু সা ম্যান এর সুরের প্রতি)
প্রশস্ত, নয়টি প্রশস্ত ধারা ভ‚মিতে প্রবাহিতঅন্ধকার, রেখার সাথে যোগসূত্র করে অন্ধকার-দক্ষিণ থেকে উত্তরআবছায়া বৃষ্টির জলীয় বাষ্পে অস্পষ্টকচ্ছপ ও সাপ ধরে রাখে মহান নদীটিকে গাঢ় আলিঙ্গনেহলুদ ক্রেন চলে গেলো, কোথায় কে জানে?শুধুমাত্র এই টাওয়ারটি পরিণত হয়েছে দর্শনার্থীদের আড্ডায়আমার ওয়াইন বন্ধক রাখি উত্তাল খরস্রোতেআমার হৃদয়ের জোয়ার ফুলে ওঠে ঢেউয়েশিল্প সাহিত্য ০২ বুধবার ২রা বৈশাখ ১৪২৭, ১৫ই এপ্রিল ২০২০
g~j: gvI †m ZzOfvlvšÍi: Kv‡qm ˆmq`wPs cvnv‡oi w`‡K ZvKvI(wn wPqvs BD‡qn Gi my‡ii cÖwZ)cvnv‡oi wb‡P D‡o Avgv‡`i cZvKv I e¨vbvicvnv‡oi P‚ovq ev‡R Avgv‡`i weDMj I WªvgAvgv‡`i wN‡i iv‡L nvRv‡iv kw³kvjx kÎyAwePwjZfv‡e Avgiv _vwK Avgv‡`i gvwU‡ZB‡Zvg‡a¨B Avgv‡`i cÖwZi¶v †jŠnve„ZGLb Avgv‡`i B‡”Q¸‡jv `y‡M©i g‡Zv HK¨e×ûqvs Bqvs wPn n‡Z e›`y‡Ki eRªZzj¨ MR©bkã Av‡m iv‡Zi g‡a¨B cvwj‡q †M‡Q kÎyশিল্প সাহিত্য ০১ মঙ্গলবার ১লা বৈশাখ ১৪২৭, ১৪ই এপ্রিল ২০২০
†nv‡n© jyBm †ev‡n©m Gi `yBwU KweZvfvlvšÍi: Kv‡qm ˆmq`e„wónVvr K‡iB †kl n‡q hvq mܨvGLb †hgb K‡iAí ¸wo ¸wi e„wó Si‡Q evB‡iSi‡Q A_ev S‡i‡Q, e„wó wb‡R wKQyB bqwbtm‡›`‡n hv AZx‡Z N‡U hvq†h †kv‡b Gi S‡i hvIqv Zv‡K g‡b Kwi‡q †`qGgb GKwU mgq hvi g‡a¨ Av‡Q A`„‡ói cwinvmwdwi‡q Av‡b Zvi R‡b¨ dyj hvi bvg Ô†MvjvcÕGes Gi jvj i‡Oi nZey× jvjfvee„wó hv Qwo‡q †`q Rvbvjvi Kv‡P Zvi †e‡cv‡ivqvD¾¡j Kiv Avek¨Kfz‡j hvIqv kniZjxAvOz‡ii Mv‡Q jywK‡q ivLv Kv‡jv AvOyiewntcÖv½Y †bB GLb Avi, mܨvi e„wóG‡b †`q Kɯ^i, Avgvi evevi wcÖq Kɯ^i†h wd‡i Av‡mb GLbI, †h gviv hvbwb KLbIwe‡”Q`wZb‡kv ivZ wZb‡kv †`qv‡ji g‡ZvDV‡Z n‡e Aek¨B Avwg I Avgvi fv‡jvevmvi g‡a¨Ges mgy`ª Avgv‡`i g‡a¨ n‡q DV‡e eø¨vK AvU©Aewkó _vK‡e bv wKQyB, ¯§„wZ QvovivZ¸‡jv †Zvgv‡K †`Lvi cÖZ¨vkxAvgvi c_ eivei †¶Î, gnvk~b¨hv Avwg †`LwQ I nvivw”Q...gv‡e©‡ji g‡Zv P‚ovšÍ†Zvgvi Abycw¯’wZ welYœ K‡i Zzj‡e Ab¨vb¨ `ycyi
No comments:
Post a Comment