বিনয় কর্মকার
ছেঁড়াকাব্য-৮
[তেতাল্লিশ]
গোলপোস্ট!!
বিরহের একজীবন চেয়ে থাকা---
মানুষ ভাবে প্রতিপক্ষ!!
[চুয়াল্লিশ]
সময়!!
হাতঘড়িটা বন্ধ করে ঘুমাই;
তবুও সকাল হয়!
[পয়তাল্লিশ]
ভয়!!
বেনিয়া থাবা---
রাষ্ট্রীয় গোয়ালে বাড়ন্ত ধর্মষাঁড়...
[ছেচল্লিশ]
বায়স্কোপ!!
মেঘের দামামা বাজে,
মন নাচে--- ভেতরে-ভেতরে বিক্রি হয়ে যাই।
বায়স্কোপে দৃশ্যান্তরের নাটক!
[সাতচল্লিশ]
ঘুমভাঙে!!
কাচের জানালা। বাইরে দৃশ্যপট।
ক্রমাগত স্থির অথবা সচল পর্দার আড়ালে,
কার ছবি আঁকে?
কে করে চোখের ফেরি, অবাক শূন্যতায়...
[ আটচল্লিশ ]
ফতোয়া!!
কলমের নিব থেকে ঝরছে ঋতুস্রাব।
নিষিদ্ধ হোক অপয়া কলম!
আমি কিন্তু শুনি ভ্রুণর গান...
[তেতাল্লিশ]
গোলপোস্ট!!
বিরহের একজীবন চেয়ে থাকা---
মানুষ ভাবে প্রতিপক্ষ!!
[চুয়াল্লিশ]
সময়!!
হাতঘড়িটা বন্ধ করে ঘুমাই;
তবুও সকাল হয়!
[পয়তাল্লিশ]
ভয়!!
বেনিয়া থাবা---
রাষ্ট্রীয় গোয়ালে বাড়ন্ত ধর্মষাঁড়...
[ছেচল্লিশ]
বায়স্কোপ!!
মেঘের দামামা বাজে,
মন নাচে--- ভেতরে-ভেতরে বিক্রি হয়ে যাই।
বায়স্কোপে দৃশ্যান্তরের নাটক!
[সাতচল্লিশ]
ঘুমভাঙে!!
কাচের জানালা। বাইরে দৃশ্যপট।
ক্রমাগত স্থির অথবা সচল পর্দার আড়ালে,
কার ছবি আঁকে?
কে করে চোখের ফেরি, অবাক শূন্যতায়...
[ আটচল্লিশ ]
ফতোয়া!!
কলমের নিব থেকে ঝরছে ঋতুস্রাব।
নিষিদ্ধ হোক অপয়া কলম!
আমি কিন্তু শুনি ভ্রুণর গান...
ছেঁড়াকাব্য-৭
[ সাঁইত্রিশ ]
আমি ফুল ছেঁড়ার বিপক্ষে,
তুমি; আমাকেই উপড়ে ফেললে!
[ আটত্রিশ ]
এইযে ওঠানামা;
অজস্র আয়ুষ্কালের ছেদ, সিঁড় ডিঙানোর ইতিহাস।
সিঁড়ির একটা ধাপকেও কোনদিন ওপর নিচ হতে দেখিনি!
তাই বলে ভেবো-না পৃথিবী স্থির।
[ ঊনচল্লিশ ]
মৃত্যু দেখতে কি প্রেমিকার মতো?
নইলে কেনো সামনে ভাসে তোমার মুখ!
প্রেমের সংজ্ঞা জানা থাকলে বিষয়টা ভাবনার খোরাক।
[ চল্লিশ ]
ইচ্ছে করেই জীবন থেকে দূরে থাকি,
পাছে জীবনের প্রেমে-না, পড়ে যাই!
[ একচল্লিশ ]
জানাশোনা বলেই সাধারণ; অজানায় বিস্ময় থাকে।
তাচ্ছিল্যে কতো-কী হাওয়ায় ওড়াই;
অথচ;
এক টাকার কোটি কয়েনে; এক কোটি টাকাই হয়!
[ বিয়াল্লিশ ]
হারিয়ে যেতেও, পেরোতে হয় অনেকটা পথ।
চেনা মানুষ, চেনা শহর-বন্দর, চেনা নদী, চেনা অরণ্য...
নিখোঁজ হতে গেলে পেরিয়ে যেতে হয় পড়শি বাড়ির সীমানা!
******************
মহরত
সুদীর্ঘ আশ্বাসে নিজাম কাকার আক্ষেপ;
কতো সিনেমা কতো সমস্যায় আটকে আছে!
অথচ;
নায়ক-নায়িকা আরকিছু মিষ্টি হলেই হয়ে যায় শুভ মহরত!
আমাদের ট্রাফিক সিগনাল দেখে-
হারিকেন-কুপির কথা মনে পড়ে।
ওদিকে ইলেক্ট্রিক আলো,
অর্ডারী স্যাটেলাইট আকাশে উড়ছে;
টিভিতে এইচডি প্রযুক্তি!
সূর্য বনাম ঈশ্বর
আহা অসময়;
ময়ূরপেখম কাশফুল---
বৃষ্টিতে নেতিয়ে যায় বয়োবৃদ্ধার স্তনের মতো!
দুধেরবাটিতে কারা মেশালো এমন সৎমায়ের ষড়যন্ত্র?
শ্বেত-পায়রার পালকে কাক-কোকিলের সন্দেহ!!
কাঁঠালের ত্বকঘেঁষে শিউলি বিরহ নিয়ে- আমরা কেবলই অন্ধকারে মিলিয়ে যাই...
বিষামৃত
আলো হতে গেলে দাহ্যও হতে হয়!
আবার শীতলতাও মৃত্যুর আরেক নাম!!
দহন ভয়ে আঁতকে ওঠা প্রাণী কি বোঝে;
উষ্ণতায়ও লুকিয়ে থাকে আগুন?
দুধের বাটিতে মাছিটি ডুবে যেতে-যেতে বলে গেলো;
শুধু বিষেই মরণ হবে; এমন কোনো কথা নেই!
নিছক কবি
কাঁকর বাছতে-বাছতেই পার হয় ভাতবেলা।
শেষ-ট্রেন মিস করে, প্ল্যাটফর্মকেই ভালোবেসে ফেলে কবি।
আর মানুষই মানুষকে ভাবে বোকা!
অথচ গন্তব্য কিংবা প্ল্যাটফর্ম;
উভয় থেকেই মৃত্যুর দূরত্ব সমান।
No comments:
Post a Comment