সজল রানভী

সজল রানভী



সমসাময়িক প্রেম”

গোলাপ গোলাপ প্রেমটা বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। তুমি বরং একটা সিগ্রেট, একটা দেশলাই দিতে পারো। রুমালে সেলাই করা ডাকনাম কিংবা চিঠির ভাঁজে লিখে দেয়া একবিঘা চুমু ফ্রিজে তুলে রেখে তুমি বরং জ্যোৎস্না বিলাতে পারো হোয়াটসঅ্যাপে, মেসেঞ্জারে।
তুমি বরং আফিম নাভিতে প্রার্থনা করতে পারো গন্দমের লোভ লালসা।

ঐসব বাড়ির সামনে দিয়ে বেলা অবেলা হেঁটে যাওয়া, টিফিন পিরিয়ডে চোখাচোখি, অংকের খাতায় বাপ দাদার পৈতৃক ছন্দ বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। তুমি বরং মদের দোকানে একটা বিকেল গিলতে পারো গোগ্রাসে। একটা সন্ধ্যা গিলতে পারো কফি কাপে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বান্ধবীর বাসায় দেখা করা ব্যাকডেটেড। তুমি বরং আবাসিক হোটেলে লুফে নিতে পারো দেড়শ মিনিটের মেগাপিক্সেল প্রেম ।।


“শোক সংগীত”


চোদাবোকা রাষ্ট্র নিজের পোঁদে বাঁড়া ঢুকিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনায়।

আমরা শুনি মৃত্যুর আহাজারি। আমরা শুনি কাফন ছাড়া দাফন। আমরা শুনি ডাল ভাতের নিম্নবিত্ত জীবন। আমরা শুনি পুঁজিপতিদের মেদওয়ালা স্ত্রীর হোগায় তেলের খনি। আমরা শুনি ভাঁড় মন্ত্রীদের আয়ুতে হেব্বি কারেন্ট। আমরা শুনি দ্যাশে মাল নেই। আমরা শুনি সিগারেটের আকাশচুম্বী দাম। আমরা শুনি করোনায় তিনের নামতা।

নিজের পোঁদে বাঁড়া ঢুকিয়ে বোকাচোদা রাষ্ট্র চোদাবোকা রাষ্ট্র আমাদেরকে উন্নয়নের গল্প শোনায়। আমরা শুনি আমাদের নিজ নিজ অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার শোক সংগীত।।

No comments:

Post a Comment

সর্বশেষ

শিল্প সাহিত্য ১৩৩

সোমবার   ৯ই ভাদ্র ১৪২৭ , ২৪ই আগষ্ট ২০২০   কবিতা বিনয় কর্মকার ছবির গল্প   ভাতের ছবি আঁকতেই, ছিটকে পড়ে কালির দোয়াত! লালরঙা স্রোত, সাঁতারকাট...

সর্বাধিক