আবু জাফর সৈকত
বলদ-অলদ
শান্তি শান্তি
ও’ম শান্তি
রিফ্লেকশন রিয়েকশান
একটু একটু ¯শ্লিপী
ঢুলু ঢুলু গুলু গুলু
তুমি কতো ভালো
(তুমি আমি হইতে পারো, আমি তুমি হইতে পারি)
স্টেইনলেস চামচ
সোনার চামচ-
এুখে তুলে ছুঁই ছুঁই চুই চুই
চলো যাই কুয়াশা চাদরে একটু শুই
গুডো গুডো ফিলিংস
ও মন। হি হি হি। খিল খিল সাউন্ড
একটু না হয় হল অদল-বদল
তুমি আমি অলদ-বলদ
****************
জনপদ
ফকফকা নীল হইয়া ভাসছো
হাসছো
খেলছো
সাঁতারে মুগ্ধ হচ্ছো পাথারের পলে
ছবি ছবি গ্রাম গুলি র্দৌড়াচ্ছে অবলিলায়
কিচির মিচির শব্দও এখন অমেলা
এই সত্য - সবই ফসিল
হাইব্রিড শস্যের বিনির্মাণ
বাতাসগুলোও কর্পোরেট মুক্তি নয়
কখনো নয়
ওয়াক্ থুঁ
তোমার সামনে একটা মদ পাত্র
ঢেলে দিই-
সম্পাদিত আলো
কুয়াশা
তুমি বিকৃত মুখে মুর্ছিত
একদলা রক্ত
ওয়াক্ থুঁ
বুকে
মুহুর্মুহু করেছ আঘাত
রাষ্ট্র
আমিও জানি আসমানী কিতাব
ওয়াক্ত হয়েছে তোমার
ফোঁটা ফোঁটা ঝড়েছে
নখ
আঙ্গুল
পা
নীচ থেকে উপরে
গলে গলে পড়ে চোখ, কপাল, চুল
তোমাকে আবারও ওয়াক্ থুঁ
সাঁতারের ব্যাকরণ
যে গ্রামের কথা বলছ সে গ্রামে আমার মা থাকেন
সবুজ পাতার ছাওনিতে বসে থাকেন অপেক্ষায়-
ব্যাকরণ পাঠ শেষে আমি যখন চলে এলাম সাঁতার শিখতে
হরিণেরা তখন পাতার সন্ধানে
আয়ুষ্কাল মেপে মেপে আমিও আলোচনায় মগ্ন
চেতনা
ডিসেম্বরের কবিতা বলে কী বোঝালেন
বোঝলাম না তা শেষ লাইনেও
হাত বাড়িয়ে বিব্রতই হতে হলো
পেলাম না কোথাও ৭১
প্রাচীনের গন্ধ পাচ্ছি খুব
ওদিকে দরজা বন্ধ করে আছেন মহাশয়
কিছু বলব তারও উপায় হয় না
চেতনার সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে সব
স্ট্যাটাস সিম্বল
আমিও কিনতে চেয়েছিলাম একটি সার্টিফিকেট
গিয়েছিলাম সদরের সোনার বাংলা মার্কেট
একটা হলেই চলে যেত আমার চৌদ্দপুরুষ
দলদাস
আজকাল
ভবানি সাহারা
পদ নিয়ে বসে থাকেন
ভাবে-অভাবে।
বিশ বছরেও-
সাহিত্যের কর্মী চিনেন না
কেননা-
বলয়ের বাইরে চোখগুলো অন্ধকার দেখে।
তাই-
নব্বই পার্সেন্ট দলদাসে তাকে ফেলতে আমার দ্বিধা হয় না।
আর আমরাও-
জোট-মহাজোটে
যেতে পারি না।
শিখে নিয়েছি উত্তর
আর নয় নমঃ নমঃ
জ্বলে উঠুক নীল চোখ
হারানোর ভয়ে আর কতো শোকজের উত্তর
পুরাতন বাধনগুলো ছিড়ুক একে একে
সোজা হোক দীর্ঘ মেরুদন্ড
হাঁটতে শিখি
করুণা চাই না আর
আমিতো গোলাম নই কোন
No comments:
Post a Comment