বৃহস্পতিবার ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ই মে ২০২০
শুভ্র সরখেল
সত্য প্রেম
বিরক্তের লাল তিমি-----
একটি সাগরের মরুভ‚মি তোমার একটি আকাশের চেয়ে অনেক বড় মনে হয়
মৃত্যুর প্রতিটি স্বাদ-----
মনের গহিনে থাকা তোমার প্রতি ঘৃণার একেকটি প্রতিফলন মনে হয়
জাহানারা আপার ফুলের কবর-----
তোমার জন্য রেখে যাওয়া উলের সুতায় বোনা গরম প্রায় ঠাণ্ডা মনে হয়
জলের উপর তোমার মুখের ছায়া
কলাগাছের পাতায় দেখেছি অনেক আগেই----
তোমার মুখ কলা গাছের পাতায় দেখা যায় অনেক অদ্ভুত।
তবে একটি গল্প দিয়ে শুরু হোক আমাদের জীবন
এক ছিলাম আমি
আরেক ছিলে তুমি
দুজনই একদিন একে অপরকে ভালোবেসে জীবন যাপন।
তারপর শুরু হবে মৃত্যু- জন্ম
বিভেদ - লোভ - আশা-
তুমি ও আমি আবারো ভালোবেসে জীবন-যাপন।
বিরক্তের একটা লাল গোলাপ -----
কোলের পাশে বসে থাকা ইতিহাসের ব্যাকুল সত্য আজ রূপকথা মনে হয়
সংখ্যা বানানের ভুল----
তোমার বিপরীতে একেকটি প্রেমের উত্তরসূরিদের অবস্থান মনে হয়
শিউলি খালার আমের বাগানে------
ইদানিং পুষ্টিহীন এক প্রাণী বাস করে- সংসার করে মৃত ভ‚তের আত্মার সাথে।
একটা মৃত্যু যদি আমার জীবনের সমাধান হয় !
তবে কলমের প্রতিটি কালি সত্য
এৃতের পরিবারের পাপ গুলো সত্য
প্রতিটি ভাষার জন্য স্বাধীনতা সত্য
আর
প্রেমে পরা মানুষদের হতাশাও সত্য।
তবে এবার একটি সত্যের গল্প বলি----
তোমাকে ছাড়া আরও অনেক দিন আমায় বেঁচে থাকতে হবে!
অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী
প্রশ্ন করতে নেই
ভাষাকে জিজ্ঞেস কর কেন তার কাছে প্রতিবাদের শব্দ নেই?
মাটি মিশে যাবো অচিরেই...
পথকে জিজ্ঞেস করো মানুষের গন্তব্য কেন ভুলভুলাইয়ার দেশে?
প্রহসন পরিশেষে...
খিদেকে জিজ্ঞেস করো সে কেন মৌলিক চাহিদার প্রথমে থাকে?
গুলি করো ধর্নাকে...
পা'কে জিজ্ঞেস করো সে কেন জিভ হয়ে লেহন করে না প্রভু...
প্রশ্ন কোরো না তবু।
মাহফুজুর রহমান লিংকন
জীবনবাস্তব! জীবনবায়না! যেহেতু বলতে পারিনি শোকজনক সংখ্যাটি কত? সেহেতু শোক নয়...
চোখ প্রশমিত করার জন্য ঘুমের আগে ঘুম আসে,
আগের স্বপ্নগুলি চিন্তার গাউন এবং টুপির উপর রাখা,
কীভাবে যেন আমরা জেনে যাই সমস্ত গন্ধ এবং হৃদ¯পন্দন
হঠাৎ করে বিষাক্ত বা®েপর মত মস্তিষ্কের চেম্বারে ঢুকে
প্রার্থনায় মত্ত হয়ে ওঠে!
রহস্য ভ‚মি অপরিচিত আকাশ মাধ্যমে
তার দূরত্ব পাঠায়?
ভ‚মি অপ্রত্যাশিত - অনুমান অতিক্রম,
যেখানে শীত হচ্ছে অজ্ঞাত আকার,
কিভাবে আত্মা যে অন্য আত্মায়
ভেতরের অনুভ‚তি যা না ঠকায় বা না মিথ্যা হয়,
কিন্তু স্ব স্ব প্রকাশ
জীবনের সমস্ত জীবন অকার্যকর বা বুদ্ধি সঙ্গে সম্পূর্ণ লেখা,
অক্ষরে অক্ষরে এবং পরিচিত!
সুতরাং,
আত্মা একা তার ভয়াবহ স্বপ্ন দেখায়
ক্লান্ত চোখে কান্নাকাটি করার জন্যই ঘুম আসছে
ঘুমানোর চোখ নিঃশেষ করার জন্য যখন ঘুম আসে,
শেষ প্রিয়ঘুম, যার নরম আলিঙ্গন মালামাল,
এবং যাদের দুঃখের দুঃখ আমাদেরকে পুরস্কার প্রদান করে
আমাদের সব আবেগ শান্ত হয় চুম্বন জন্য,
দীর্ঘ আত্মবিশ্বাসী উত্তর আমাদের আত্মা
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পারে না এমন বিষাদে,
ক্লান্ত চোখে সীলমোহর করার জন্য যখন ঘুম আসে!
আসমা আক্তার
ঘুমন্ত অবয়বে ভালোবাসা খোঁজা
রাতের গায়ে সূর্যটা টেনে দেয় সফেদ কাফন।
সবুজেরা পুনর্জীবিত গাছের ডালে।
তুমি নাহয় আরেকটু ঘুমাও!
আমি নিশ্চুপ দেখে যাই ধরণীর সুন্দরতম রূপ।
পাখিদের কলতানে চাপা পড়ে যায় ভোরের নীরবতা।
তোমার নিষ্পাপ মুখে ভালোবাসা আঁকে আলোকরশ্মির চঞ্চলতা।
কালো পাপড়িরা ঘুমন্ত চোখে ছেয়ে দেয় মায়াজাল।
শুষ্কঠোঁট বৃষ্টির প্রতীক্ষায় তৃষ্ণার্ত অধীর।
গভীর প্রশ্বাসে টেনে নেয় কোমল প্রশান্তি।
তুমি নাহয় আরেকটু ঘুমাও!
আমি রেটিনায় বন্দি করি নৈরাজ্যহীন আরেকটা পৃথিবী,
আর ঘুমন্ত অবয়বে খুঁজি অপার ভালোবাসা!
ধারাবাহিক (প্রথম অংশ)
দ্য সাইন্টিফিক লাভ
রঞ্জনা বিশ্বাস
ভালো লাগছে ভলো লাগছে, কেন তা বলতে পারি না/ আলো আঁধার নিকট দূর/ ঘুমপাড়ানি গান ঘুমভাঙানি সুর/ ভালো লাগছে ভালো লাগছে... এই যে এক অনুভুতি আপনাকে আচ্ছন্ন করে রাখছে , নাম কী এই অনুভূতির? ভালোবাসা? প্রেম?
এই বিজ্ঞানের যুগেও কেউ কেউ প্রেমকে অপার্থিব এক অনুভ‚তি বলে মনে করেন। এই প্রেমের মধ্যে কোনো প্রত্যাশা নাই, সহজ কথায় একে তারা বলেন প্লেটনিক লাভ। কিন্তু অনেকে একে আবার পার্থিব বলেই মনে করেন। কিন্তু যা-ই হেক না কেন পার্থিব অপার্থিব, প্রেম বা ভালোবাসা একধরনের আবেগীয় অনুভ‚তির অভিজ্ঞতা মাত্র। যেহেতু বিষয়টি অভিজ্ঞতার তাই এর সঙ্গে বস্তুগত উপযোগীতা থাকতেই হবে তা না হলে ভালোবাসার সঙ্গে জলে স্থলে বাঁশী বাজার সম্পর্কই বা থাকবে কেন?
আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী রবার্ট জেফ্রি স্টানবার্গ তার ‘ভালোবাসার ত্রিভূজ তত্ত¡’ নামক গবেষণা গ্রন্থে জানান, ত্রিভূজের তিন বাহুর মতো ভালবাসার এই অনুভূতির জন্য দরকার তিনটি উপাদান। এগুলো হল, অন্তরঙ্গতা, কামোচ্ছাস এবং প্রতিশ্রুতি। তার ভাষায়, অন্তরঙ্গতা হলো নৈকট্যের অনুভূতি, কামোচ্ছাস হলো জৈবিক বা যৌন আকর্ষণ আর প্রতিশ্রুতি হচ্ছে দীর্ঘ ও পারস্পারিক নির্ভরতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তিনি বলেন, এই তিনটি উপাদানের উপস্থিতি অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে ভালোবাসার অভিজ্ঞতা। এর কারণেই ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ভালোবাসার অনুভ‚তির ভিন্নতা দেখা যায়। অন্যদিকে বিখ্যাত নৃতত্ত¡বিদ হেলেন ফিশার মনে করেন বিবর্তনর পথ পরিক্রমায় মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি পর্যায়ের দিকে গুরুত্ব দেয়- কামনা, আকর্ষণ ও সংযুক্তি। ফিশার দেখেন যে, মানুষের কামনা যৌন হরমোন স্টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন দ্বারা পরিচালিত হয়। স্টেস্টোস্টেরন কেবল মাত্র পুরুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা নারীদের সেক্স ড্রাইভেও প্রধান ভূমিকা পালন করে।। টেস্টস এবং ডিম্বাশয়ের থেকে যৌন হরমোন স্টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের উৎপাদককে প্রভাবিত করে। এই স্টেস্টোস্টেরন প্রায় সবার মধ্যেই কাম শক্তি বাড়ায়। এদিকে নারীর শরীরে উর্বরতার সময় ইস্ট্রোজেনের মাত্রা সর্বাধিক থাকে তাই এই সময় তাদের মধ্যে যৌন উদ্দিপনা সব চেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়। একারণে ফিশার প্রেমে পড়া ব্যক্তিকে বলছেন, ‘ get you out lookin for aûthing.’ অর্থাৎ প্রেমে পড়েছ ? তো,‘ যাও অন্য কিছু খোঁজ করো’ এবং সেটা কি তা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে!
এরপর দি¦তীয় পর্যায়ে আসে আকর্ষণ। এই পর্যায়টি প্রেমের চূড়ান্ত পর্ব। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন তারা আর কিছুই ভাবতে পারে না। এই সময় তাদের ক্ষুধা বোধ থাকে না, ঘুমোতে পারে না। তারা তখন গাইতে থাকে- জগরণে যায় বিভাবরী, আঁখি হতে ঘুম কে নিল হরি, মরি মরি... তারা তখন ঘুম কেড়ে নেওয়া মানুষটিকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেবল স্বপ্ন দেখে পার করে দেয় শীত বসন্ত। এরকম হয় কারণ এই পর্যায়ে মস্তিষ্কের মনোমাইনস নামে পরিচিত নিউরো-ট্রান্সমিটারগুলি গুরুত্ত¡পূর্ণ ভূমিকা রখে। সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণের চূড়ান্ত লগ্নে উভয়েই এক ঘোর লাগা অনুভূতির স্বাদ পান। মনে হয় কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচহে পারবেন না। এই অনুভূতির জন্ম দেয় ডোপামিন নামক এক রাসায়নিক পদার্থ যা সক্রিয় হয়ে নেশা নেশা ঘোর তৈরি করে। ডোপামিন সক্রিয় হয়ে উল্লাস, উদ্দিপনা বাড়তি মনোযোগ আকর্ষণের কাজ করে থাকে। এটা পুরস্কৃত হবার জন্য তাড়িত করে। এ কারণে একে রোমান্টিক প্রেমের ভিত্তি বলা হয়। আবার ডোপামিনের কার্যকারিকার কারণে রোমান্টিক প্রেমের ভাবনাগুলো পরিবর্তীত হতে পারে। এর কারণে কারো মধ্যে ভালোবাসার ক্ষেত্রে মৌলবাদিতার দেখা পাওয়া যায়। এর কারণে মানুষ মারাত্মক তাড়না বা প্রেরণা অনুভব করে থাকে যে কখনও কখনও এই ভালোবাসা যৌনতা থেকেও অধিক শক্তিশালী হয়। এই পর্যায়ে কেউ প্রত্যাখাত হলে নিজেকে ধ্বংস করে দিতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে আত্মহত্যাগুলো এই পর্যায়ে ঘটে। হেলেন ফিশার, স্নায়ু চিকিৎসক লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমূখ বিজ্ঞানীরা ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উপর গবেষণা চালান। তারা প্রেমিক প্রেমিকার সামনে তাদের ভালোবাসার মানুষটির ছবি রাখেন। এই ছবি দেখার পর তাদের মস্তিষ্কের ফাংশনাল এম আর অই করা হয়। দেখা গেল- এসময় তাদের মস্তিষ্কের (চলবে...)
মূল: জঁ ককতো
ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ
নারবন এর মধু
ব্যবহার করো তোমার হৃদয়। চাষাড়াঅর্জন করে সমৃদ্ধি সোনালি সারে।
ঘুমোতে! পায়ের আঙুলের লাথি: উড়ে যায় মাছি
আমার সাথে কেনো খেলো তুমি?
মোয়াবাইট-নীল যন্ত্রণা বহনকারী মহিলা। মরুযাত্রীদল।
ভ্যানিলা, লঙ্কা, তেঁতুলের আচার
নাবিক, গলা, পমপন, ম্যান্ডোলীন, গোঁফ
প্রতারক লিনোলিয়াম। ধন্যবাদ।
চলচ্চিত্র, নতুন আবেশ।
অণুগল্প
সীমারেখার বাইরে
প্রণবকুমার চক্রবর্তী
গল্পের ভবিষ্যৎটা কী জানা দরকার! সম্পাদক মশাই ফোন করে একটু জানাতে পারতেন।
প্রিয়াংশু পড়েই বলেছিল দারুণ হয়েছে। একসিলেন্ট ! ওটা ওর দাদার কাগজ ‘নতুন ভোরের আলোর পাতা’য় ছাপবার ব্যবস্থা করে দেবে । কিন্তু, ওর কথাটা পিকুর একদম পছন্দ হয়নি । সেটা না করে, বড় কাগজ- ‘গল্পের দেশে’র অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে এসেছিল। কিন্তু, প্রায় বছর ঘুরতে চললো, কোনও সংবাদ নেই। তাই, একদিন পিকু স্বশরীরে গিয়ে কাগজের অফিসে হাজির হয়ে সম্পাদক মশাইয়ের সাথে দেখা করে গল্পটার ভবিষ্যৎ জানতে চাইল ।
- কোন গল্পটা ? সম্পাদক মশাই টেবিলের পাশে সরিয়ে রাখা ফাইলটা থেকে গল্পটা বের করে, একটু চোখ বুলিয়ে বললেন- এ টাইতো ?
- হ্যাঁ স্যার ।
ওপরের নামটা দেখে মুখটা ভেটকিয়ে বলে উঠলেন- মোটই এ্যাট্রাক্টিভ নয় ! নো সেক্স , নো ক্রাইম এ্যাটাচমেন্ট ।
পিকু খানিকটা বিস্মিত হয়ে বলে- কিন্তু স্যার, এখন তো এটাই দেশ এবং মানুষের কাছে একটা জলন্ত সমস্যা। আমি তো আমার গল্পের মধ্যে দিয়ে সেই সমস্যার কথা বলতে চেয়ে...
ও কথাটা শেষ করতে পারেনি, সম্পাদক মশাই রীতিমতো গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন- রাখুন তো মশাই । ওসব দেখার জন্য বহু লোক আছে । আমরা পয়সা খরচ করে কাগজ বের করছি সামাজিক সেবা করার জন্য নয়। পেপারের বিক্রি করে ইনকাম বাড়াবার জন্য। মশাই, পারলে, এই গল্পটাকে একটু চেঞ্জ করে নায়ক এবং নায়িকার ভেতরে একটু রগরগে সেক্স আর থ্রিলার ঢোকান।
পিকু নির্বাক! ভেবে পাচ্ছে না- কী করবে?
No comments:
Post a Comment