Saturday, July 25, 2020

শিল্প সাহিত্য ১০৩


শনিবার ১০ই শ্রাবণ ১৪২৭, ২৫ই জুলাই ২০২০




কবিতা

এবাদুল হক
স্পর্শের গভীর থেকে

দিনশেষে যদি দেখ স্বপ্নের ভেতর রক্তপাত
চিলেকোঠায় সূর্য অস্ত গেল অথচ রাত্রির মুখ ঢাকা
তাহলে নিশ্চিত জেনো তোমাকে খুঁজছে কেউ
অথবা প্রতীক্ষারত তুমি, বসে আছো স্মৃতির জঙ্গলে
ক্রমশ তোমার মধ্যে জন্ম নিচ্ছে, ফিরে আসছে অনুভবে
স্পর্শের গভীর থেকে উঠে আসছে আরেক মানুষ।

যদিও অন্ধকারে পা রাখার জায়গা খুঁজে খুঁজে
পায়ের কথাই ভুলে গেছ, ভুলে গেছ ক্লান্তি ও হতাশা
রাত্রির সংগমরত নদী ঢেলে দিচ্ছে বিষজল
চতুর্দিকে সময়ের ভুক্তাবশেষ, মাকড়সার মত মৃত্যুসুখ।

দিনশেষে যদি দেখ করোটির ভেতর সূর্য ডুবছে
অদৃশ্য শিশির হিমে নিভে যাচ্ছে চিরব্রতী আগুন
প্রার্থনা করো, বুকে যে সামান্য তাপ ছিল
প্রলয় চিৎকারেও তার কোনো গান বন্ধ থাকেনি।

অশোক অধিকারী
অভিমানে রুমালের ঘাম আনতে যায়

ভিজে হাওয়ায় ঘুম খুঁজছে পিতৃপুরুষ
হিম বসন্তে নির্মিত অভ্যুত্থান তার নারী বাসনা
উভচর হৃদয় খুঁড়ে সে রেখেছে বিচ্ছেদ ফুল
একখণ্ড কাপড়ের মেঘ তার শাড়ির ঠোঁট
দিয়ে মুছে দেয় ইমন কল্যাণ

লম্বা চিঠির পাতায় কাটাকুটি নিবিড় সংবাদ
বর্গক্ষেত্র জুড়ে নৈঋত অস্বস্তিসূচক রমণীয়
জানালার রোদে সম্পর্ক শুকাতে দেয়
একদিন গাছের দেয়াল বেয়ে লালারস
শিকড়ের গম্ভীরতা ভাঙাবে বলে
রুমালের ঘাম আনতে যায় অভিমানে

সুজাউদ্দৌলা
পা এবং তুমি

জুতাবিক্রেতার মতো চেয়ে থাকি
মেয়েদের পায়ের দিকে
এতো সুন্দর পা ফেলে তারা হাঁটে বলেই
চারপাশ এতো সুন্দর হয়ে ওঠে
তাদের পদস্পর্শে ধন্য হয় ধূলো
এতো এতো পায়ের দিকে তাকিয়ে
দেবীর মতো তোমার চরণপদ্মের
                     কথা মনে পড়ে যায়
অমন পা ফেলে তুমি আজ কার পথে
                                                  হাঁটো?

মাহফুজুর রহমান লিংকন এর সাক্ষাৎকার
কবিতার ভাষাও মানুষের মুখের ভাষা হয়ে যেতে পারে।



মাহফুজুর রহমান লিংকন।
কবি ও প্রাবন্ধিক।
জন্ম: ১৭ মার্চ, ১৯৮০ এ বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায়।
প্রকাশিত কবিতার বই
 ‘অমীমাংসিত ফুলের  দেবতা’।
বিন্দু, জঙশন, ওয়াকিং ডিসট্যান্স সহ অপরাপর লিটলম্যাগে নিয়মিত লিখছেন।

কেমন আছেন?

সত্যি কথা বলতে কি বয়স বাড়ার সাথে-সাথে ভালো থাকার পরিধিটা মনে হয় বেড়ে যাচ্ছে... সব মিলিয়ে ভালোই আছি মনে হচ্ছে...

লেখার শুরুটা কীভাবে?

আমি ইনিয়ে বিনিয়ে, বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলতে পারি না। সত্য গল্পটা এই যে, আমি নিজেও জানি না লেখালেখি কীভাবে শুরু করেছি। তবে কুড়িগ্রামের মত সাজানো গোছানো, নদীর আনাগোনাময়, ছোট্ট শহরটা আমাকে কবিতার মানুষ করে তুলেছে। পাশাপাশি যার কথা বলতে হয়, তিনি আমার দাদা প্রয়াত মনির উদ্দিন ব্যাপারি। শৈশবে সম্ভবত তাঁকে দেখে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। তিনি ছিলেন সূফী ঘরনার লোক, শৈশবে দেখতাম খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জন্ম ও মৃত্যু দিবসে সারা রাত বাউল গান হতো... এখান থেকে সম্ভবত কবিতার প্রতি কিছুটা মমতা জন্মে, লিখতে উদ্বুদ্ধ হই...

আপনার কবিতায় তাই বারবার ‘কুড়িগ্রাম’ উঠে আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন ঢাকা এবং দেশের বাইরে থাকার যে অভিজ্ঞতা, তা আপনার কবিতায় অনুপস্থিত কেন?

ঐ যে বললাম, কুড়িগ্রাম শহরটা আমাকে কবিতার মানুষ করে তুলেছে... হয়ত প্রথম প্রেম কুড়িগ্রাম... তাই ফিরে ফিরে প্রথম প্রেমের অনুভূতি আমাকে তাড়িত করে...
দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকি, তবুও এই শহরটা আমার না... এমন ভাবনা আমাকে ভাবিত করেনা। আর আমার দু-একটি কবিতায় ঢাকার কথা উঠে এসেছে (যেমনঃ ‘বৃষ্টি এবং রিক্সা বন্দনা’)। তবে, দেশের বাহিরে যখন ছিলাম, তখন আমার আজন্ম প্রেমের সুতোয় আমি বাঁধা পরে ছিলাম। তার ফলে যা হয়েছে- আমি আসলে দৈহিকভাবে সেখানে থেকেও হয়ত সেখানে ছিলাম না... ওই সময়ের যে চোখ সে চোখ সত্যিকার অর্থে অন্ধ ছিল বলেই হয়ত আমাকে তাড়িত করতে পারে নাই... 

আপনার মতে কবিতা কী? কবিতা পাঠের প্রয়োজনীয়তা কী?

যে কোন কবিতা, তা কবির এক বিশেষ অভিজ্ঞতালব্ধ মুহূর্তের ফসল; অনুভ‚তি বা অনুভবের ভাষিক রূপায়ন। আমি মনে করি, কবিতা যতটা না বুদ্ধিবৃত্তিক আয়োজন তার চাইতে অনেক বেশি আবেগের অক্ষর, ভাষাবন্দীর খেলা। তবে শুধু আবেগিক প্রযোজনাই কবিতা নয়। কবিতাতে কবি প্রয়োজন অনুযায়ী সংযত আবেগের শৈল্পিক উপস্থাপন করেন। কবিতায় যদি এই নিয়ন্ত্রিত আবেগ সঞ্চালনের সাথে গঠনের সুষম প্রবাহ থাকে তখন তা উৎকৃষ্ট কবিতা হয়ে ওঠে। অর্থাৎ আবেগ ও অনুভবের সাথে চিন্তার যথার্থ শৈল্পিক সজ্জ্যায়নই কবিতা। এ অর্থে কবিতা ব্যক্তিনিষ্ঠ। কিন্তু যথার্থ শিল্পের শক্তি ও সৌন্দর্য এইখানেই যে তা ব্যক্তিগত ভাবের প্রকাশ হলেও হয়ে ওঠে সার্বজনীন। প্রকৃত কবিতার যাত্রা তাই ব্যক্তি থেকে বিশ্বের দিকে। পাঠক যখন কোন কবিতা পাঠ করে তখন সে নিজেও কবিতায় বর্ণিত অনুভ‚তি বা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। সাহিত্য মানুষের আবগেকে জাগিয়ে দেয়। কবিতা এই কাজটা সবচাইতে নিখুঁতরূপে করতে পারে। কবিতা পাঠের সময় পাঠকের সামনে তার নিজের ভেতর লুকানো জগতের প্রকাশ ঘটে যায়। সে নিজেকে আবিষ্কার করে বর্ণিল বিচিত্রতায়, বহুরূপী সময় আর নানামুখী অভিজ্ঞতার সদর দরজায়। নিজেকে এই যে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আবিষ্কার আর ভেতরের আবেগের জাগরণ- এটা পাঠককে সুখ দেয়। এই আবিষ্কার আসলে নিজেকে নতুনভাবে সৃষ্টি করা। সৃষ্টির ফলে স্রষ্টার (পাঠক এখানে স্রষ্টার ভূমিকায়) সুখ লাভ হয়।

কবিতায় ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার চিন্তা জানতে চাচ্ছি।

মানুষের মুখের ভাষা কবিতা নয়। কবিতা নয় সংবাদপত্রের ভাষাও। এগুলো কবিতা হলে কবিতাকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার প্রয়োজন বোধ জন্মাত না। কবিতার কিছু লাইন মুখের ভাষার মতোই লাগে। কিছু-কিছু কবিতার লাইন মানুষের  মুখের ভাষার সাথে, চেতনার ভাষার সাথে, বোধের সাথে, অভিজ্ঞতার সাথে, প্রত্যাশার সাথে এতোই মিলে যায় যে, কবিতার ওই লাইনটি প্রবাদে পরিণত হয়। তাহলে মুখের ভাষার সাথে কবিতার ভাষার দূরত্ব কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো? কিংবা ধরুন, রিকসাওয়ালার কণ্ঠে যখন কবি বলেন, ‘পেডেল মাইরা কি চান্দে যাওন যায়!’ তখনও দার্শনিকতার স্পর্শে সচেতন হয়ে ওঠে মন। সীমাবদ্ধতা ও প্রত্যাশার বিপরীতার্থকতাও ভেসে ওঠে। কিন্তু কথাটি তো নিছক মুখের ভাষা-ই। কিংবা বুদ্ধদেব বসু যখন বলেন, ‘সোনালী আপেল, তুমি কেমন আছ?’ অথবা শক্তি চট্টোপাধ্যায় যখন বলেন, ‘যেতে পারি- কিন্তু কেন যাবো?’ তখন?
তাহলে দেখা যাচ্ছে মুখের ভাষাও তার প্রচলিত অর্থকে ছাপিয়ে বিশেষ অর্থ বহন করতে পারে। তেমনি কবিতার ভাষাও মানুষের মুখের ভাষা হয়ে যেতে পারে। কবিতার বিশেষত্বও এখানেই। একটি শব্দকে সাধারণভাবে উপস্থাপন করলে সে সাধারণ অর্থই প্রকাশ করবে বা আভিধানিক অর্থই প্রকাশ করবে। কবিতায় ব্যবহৃত শব্দ যদি আভিধানিক অর্থকে অতিক্রম না করতে পারে তাহলে বলতে হবে কবি তার ভাবকে শব্দের নদীর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারেনি। আবার সাধারণ মুখের ভাষাকেও সাধারণ অর্থ থেকে উপরে তুলে তাকে বিশেষ অর্থে অর্থায়িত করা যায়। তখন মুখের ভাষাও হয়ে ওঠে কবিতা। 
এভাবে দেখা যায় চিঠির ভাষাও কবিতা পদবাচ্য হতে পারে। সাধারণ অর্থে কবিতার ভাষা তো সম্মোহনীয় ভাষা। তাই বলে সম্মোহনীয় স্বর সৃষ্টি করতে হলে শুধুমাত্র যে ঐন্দ্রজালিক পরিবেশ-পরিস্থিতি-ভাষার দ্বারস্থ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সাধারণের ভেতর থেকেও তুলে আনা যায় বিবিধ গভীরতা।
কবিতার ভাষা এমন এক ভাষা-  ব্যকরণ দিয়ে যাকে সিদ্ধি করানো যায় না। প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধ বিদ্যা কবিতার ভাষার কাছে প্রায়ই মূর্খ। তাই বলা যায়, কবিতার ভাষা একধরনের অভিনব নিরীক্ষাধর্মী। সম্পূর্ণরূপে যা অন্যরকম, অন্যরকম এর অভ্যন্তর। ফলে কোনোভাবে একবার যে প্রবেশ করবে তার কাছে মনে হবে চলে এসেছি মনোরম মনোহর দিকশূন্যপুরে। ফলে ফিরে আসা যায় না... প্রেমিকার সঙ্গে বুক খোলা  মাঠে শতশত গল্প করার পর ফিরে যাওয়ার মতো নিষ্পলক বিস্ময় নিয়ে ফিরে ফিরে আসার অসীম অঙ্গীকার...

কবিতায় কি গল্প বলা যায় ?

কবিতা মানেই তো স্বল্প কথায় গল্প বলা... 

আগামী দিনে বই প্রকাশের বিষয়ে পরিকল্পনা কী?

আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমার প্রথম এবং এখন অব্দি একমাত্র কবিতার বই ‘অমীমাংসিত ফুলের দেবতা’র পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের পরিকল্পনা আছে।

‘অমীমাংসিত ফুলের দেবতা’ পড়ার পর অনেক পাঠকের মন্তব্য ছিলো, এই কবিতাগুলোতে আমিত্বের প্রকাশ ঘটেছে তুমুলভাবে, বারবার। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন?

আমি আমার নিজের মাঝে জগত সংসার দেখতে পাই। ফলে যেটা হয়েছে যে, সকলের কথা বলেও, আমি আমাকেই হয়ত ফুটিয়ে তুলেছি। আমি প্রায়ই একটি কথা বলি, পাঠক যদি কবিতার আয়নায় নিজেকে দেখতে না পায় তাহলে সে কবিতা সুখপাঠ্য হয়ে উঠে না। আমি চাই, কবিতার ভিতরে ঢুকে পাঠক নিজেকে আবিষ্কার করতে শিখুক। তাতে কবির সাথে কবিতার সাথে পাঠকের বন্ধন বেড়ে যাবে।

আপনি তো প্রবন্ধ লিখেন। প্রবন্ধের বই নিয়ে পরিকল্পনা কী? 

এখানে একটু গোপন কথা বলে ফেলি, লিটলম্যাগ বিন্দুর মুল কাণ্ডারী কবি সাম্য রাইয়ান আমার লেখালেখি জগতের দ্বিতীয় ঈশ্বর! ২০১২ সালের আগে আমি যা লিখেছি তা আমার নিজের ভিতরে বসে থাকা আর এক লিংকন আমাকে দিয়ে লিখিয়েছেন...। তবে ২০১২ সালে আমি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে আসার পর কবি সাম্য রাইয়ান’র সংস্পর্শে আসি এবং ওর উৎসাহে বলেন আর জোরেই বলেন, আমাকে অনেক কবিতা সহ প্রবন্ধের জন্ম দিতে হয়েছে...
বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ নিয়ে আপাতত কাজ করছি (ইতোমধ্যে তিনটি গদ্য বিন্দুতে ছাপা হয়েছে)... ভবিষ্যতে যদি তেমন লিখা হয়ে যায় তাহলে বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে বৈকি... 

এই সময়ের তরুণ-তরুণী কবিরা প্রত্যেকে প্রত্যেককে আড়ালে ‘বোকাচোদা’ সম্বোধন করে। কবিদের মেরুদন্ড, স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ হারিয়ে কি হারিয়ে যাচ্ছে?

কে, কারে কী কইলো, এই সব নিয়ে না ভেবে বরং এটা ভাবা উচিৎ “আমারে নিয়ে কেউ একজন ভাবতেছে... এই বা কম পাওনা কীসে! কবি সাম্য রাইয়ান প্রায়ই আমাকে একটা কথা বলে- ‘ভাই, কেউ যদি এক লাইনও কবিতা লিখে, তাহলে সে আমার ভাই।’ এর চেয়ে মহা সত্য বানী এই প্রসঙ্গে আর হয় বলে আমি মনে করি না। কবির চেয়ে সোজা মেরুদণ্ড জগতে আর কারো কি আছে! তবে আমি তরুণ লেখকদের উদ্দেশ্যে বলবো, সমস্ত পৃথিবী জ্ঞানের ভান্ডার, যেখান থেকে যা পাবেন, সেটাকে লুটে নিয়ে, আপনার মননে, সৃজনশীলতায়, সৃষ্টিতে ঢেলে দিয়ে আপনার সৃষ্টিকে তথা আপনার প্রেয়সীকে সাজান। সারা পৃথিবী আপনাকে স্যালুট করবে। এইসব দলাদলি- গলাগলি আপনাকে সাময়িক তুষ্টি দিতে পারে, কিন্তু তা আপনাকে ধ্বংস করে দিতে সময় নেবে না। অতএব, সাধু সাবধান!

পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে তখন কী হতে চাইবেন?

কবিপত্নী!

আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা কী?

আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা আমি আমাকে ভালোবাসতে পারি নাই... 

সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ‘শিল্প-সাহিত্য’ পত্রিকাকে। শুভকামনা।

1 comment:

  1. লিংকন ভাইয়ের কথা শুধুই কথা নয়...

    ReplyDelete

সর্বশেষ

শিল্প সাহিত্য ১৩৩

সোমবার   ৯ই ভাদ্র ১৪২৭ , ২৪ই আগষ্ট ২০২০   কবিতা বিনয় কর্মকার ছবির গল্প   ভাতের ছবি আঁকতেই, ছিটকে পড়ে কালির দোয়াত! লালরঙা স্রোত, সাঁতারকাট...

সর্বাধিক