রবিবার
২৮শে আষাঢ় ১৪২৭, ১২ই জুলাই ২০২০
কবিতা
আপন রহমান
আজন্ম অন্ধকার
হৃদয়টা
এখন শূণ্যতার চিলেকোঠা
বেদনার
রুমালে মুছে নিয়েছি
সোনালী
অতীত।
হারাতে
হারাতে হারিয়েছি সব, সবকিছুই; কিছুই নেই বাকি...
-না
প্রেম
-না
ভালবাসা
-না
স্মৃতি ।
শূণ্য
হৃদয়ের খোলা উঠানে আজ বিলি কাটে দুখী বাতাস
না
কিছুই নেই-কেউ নেই!
সব
কিছু গিলে খেয়ে গেছে
কালের
দানব-
আমার
সোনালী স্বপ্নগুলো
স্নায়ুর
ইচ্ছে গুলো
পুষ্পিত
বসন্ত গুলো
-হারিয়ে
গেছে;
হারিয়ে
গেছে আজন্ম অন্ধকারের বুকে...
আমার
হারিয়ে যাওয়া;
প্রথম
ভোরের সূর্যটাও
আজ
আলো দেয় অন্যের আকাশে...
তাই
আজ আমার সঙ্গী
সোনালী
স্বপ্ন নয়, পুষ্পিত বসন্ত নয়
চৈতালি
সন্ধ্যাও নয়
আজন্ম
অন্ধকার...!
উৎপল বাগ
রাতকথা
নিশুতি
রাতের অন্ধকারে নিশাচরীয় লীন ঠোঁটে
অব্যক্ত
প্রতিধ্বনি
মেঘের
আড়ালে নির্ঘুম চাঁদের নিদ্রালু চাউনি !
জল
থৈ থৈ রুদালী বুকে প্রতিবন্ধী ছোঁয়ায়
স্বপ্নকথার
খোঁজ ঝিঁঝিঁ লাগা দু’চোখে
হিমশীতল
বাষ্পের চুপ কথা।
ঝরা
পাতার মর্মর ধ্বনিতে
চুপিসারে
নামে হৈমন্তিক রাতকথা
শেষ
হয়ে যায় কয়েক মুহূর্তে।
দু’চোখের নীচে গঙ্গা যমুনার পাড় ভাঙা ঢেউয়ে
বুকের
বিভাজিকায় জমানো নুড়ি পাথরের ঘর্ষণ
সরীসৃপ
শ্লথ গতির বিবর্তন !
সমান্তরাল
পথের ধারে আগাছার জঙ্গলে
বিস্মৃত
অতীত।
পলিয়ার ওয়াহিদ
এর সাক্ষাৎকার
সাহিত্য ধর্ম নয় কিন্তু ধর্ম সাহিত্য
পলিয়ার ওয়াহিদ ২৬ ফাল্গুন
১৩৯২ (বাংলা) শুক্রবার—যশোরের কেশবপুর উপজেলার—ঐতিহ্যবাহী পাঁজিয়ার অন্তর্গত পাথরঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা
গোলাম মোস্তফা সরদার—মা ছাবিয়া বেগম। পাহাড় ঘেরা সিলেটে ফুলটাইম মিষ্টি কোম্পানিতে ম্যানেজারি
আর পার্টটাইম এমসি কলেজে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ও ঢাকা কলেজে স্নাতকত্তোর শেষে একটা জাতীয়
দৈনিকে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ
:
পৃথিবী পাপের পালকি,
সিদ্ধ ধানের ওম, হাওয়া আবৃত্তি, মানুষ হবো আগে, সময়গুলো ঘুমন্ত সিংহের, দোআঁশ মাটির
কোকিল
লেখার শুরুটা কিভাবে? আর সিরিয়াসলি লিখতে শুরু করলেন কবে? কেন কবিতা লেখেন?
পলিয়ার: কীভাবে যে শুরু করেছিলাম! ঠিক কি মনে আছে? তখন বোধহয় ফাইভে পড়ি। পড়শী কোনো মেয়ের উড়ো মনের বার্তা লিপিবন্ধ করতে গিয়ে প্রথমে বোধহয় ‘তোমার ওই মনটা আমি দেখি উড়ো উড়ো’ এভাবে শুরু করেছিলাম। এখনো উড়াউড়ি চলছে। তারপর মন আর পড়শীতে আটকে থাকেনি। সে উড়ে গেছে দূরে। সুরে সুরে অন্য শহরে। সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন কোনো দেশে।
তারপর কপোতাক্ষের পানি গিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে অনেক। আমিও গড়াগড়ি করেছি বুড়িভদ্রায় স্মৃতির অন্তরে অন্তরে ভৈরবের স্রোতে মিশে হাজির হয়েছি কুশিয়ারা আর সুরমার ঢেউয়ে। হয়তো উত্তেজনার পারদে আর আবেগের মহামারিতে তখন লিখেছি ঘরপালানো অক্ষর। পাউরুটি আর মিষ্টির দোকানে চাকরি করতে করতে শেষ করেছি বিএসসি অনার্স। কিন্তু আমি কখনো সিরিয়াস হইনি। অথচ জীবনজুড়ে আমার সিরিয়াসনেসের অভাব নেই! তবে সিরিয়াসলি শুরু করেছি ঢাকায় এসে সাংবাদপত্রে কাজ নেয়ার পর। ২০১০ সালে।
আর কবিতা কেন লিখি তার উত্তর অনেক লম্বা। যে কারণে মৌমাছি মধু আহরণ করে সে কারণে আমি লিখি। যে কারণে মাকড়শা জাল বোনে সে কারণে আমি লিখি। লিখি কারণে ও অকারণে। একটা সময় মনে হল, কবিতা লেখা ছাড়া আমি বোধহয় আর কিছু পারি না। আমার পিঠে যে দুটি ডানা গজানো হয়েছে সেখানে সবসময় স্বপ্নোরা উড়োউড়ি করে আর বলাবলি করে যে, তুই অক্ষম! সম্ভাবত অক্ষমদের কাজ-ই শব্দ আর ভাষা দিয়ে সক্ষমতার প্রমাণ মেলানো। কবিতা মানে স্বপ্নো। বিষ পান করে মধু বিতরণের যে স্বপ্নো সবাই দেখতে পারে না তাদের ‘না পারার’ স্বপ্নই আমার কবিতা লেখার কারণ। নিজের পলায়ন জীবনের প্রকাশ হচ্ছে কবিতা।
এ সময়ের কোন কোন কবির কবিতা আপনাকে ভাবায়, থমকে দেয় ?
পলিয়ার: ‘এ সময়’ বলতে আসলে কোন সময়? ঠিক বুঝতে পারিনি। মাইকেল, রবীন্দ্র-নজরুল, জীবনানন্দ, আল মাহমুদ, শহীদ কাদরী, বিনয় মজুমদার, আবুল হাসান, ফরহাদ মজহার, আবদুল মান্নান সৈয়দ, হেলাল হাফিজ, ময়ুখ চৌধুরী, রুদ্র, জয় গোস্বামী, নূরুল হক, মজিদ মাহমুদ, হয়ে সরকার আমিন, মুজিব ইরম, নয়ন আহমেদ, আলফ্রেড খোকন, মুহাম্মদ ইমদাদ, পাবলো শাহী, এনামূল হক পলাশ, জাহানারা-জুয়েল-ইমতিয়াজ-ফেরদৌস-নির্ঝর-বিজয় তারপর চলমান সময়ের নকিব মুকশি, হাসান রোবায়েত, সাইয়েদ জামিল, মাসুম মুনওয়ার, হিজল জোবায়ের, মোহাম্মদ জসিম, চঞ্চল বাশার, তাসনুভা অরিণ, শামীম আরেফিন, কবির কল্লোল, জিয়াবুল ইবন, হোসেন রওশন ভালো লাগে।
এ সময়ের বলতে হয়তো আমাদের সময়ের বুঝিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের সময় নিয়ে এখনো অপেক্ষা করতে হবে। কবিতার বর্তমান বড় নির্মম। ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত তবে সঠিক।
সাহিত্যের বিশ্বাস আর ধর্মের বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য বা দ্বন্দ্ব কোথায়?
পলিয়ার: সাহিত্যের বিশ্বাস আর ধর্মের বিশ্বাস বলতে আপনি বোধহয় সাহিত্যের ধর্ম আর বিশ্বাসের ধর্মের কথা বলেছেন। খুবই সুন্দর প্রশ্ন। সাহিত্যের ধর্ম সত্য, সুন্দর, আনন্দ। ধর্মেরও তাই। ফলে দুজায়গাতেই সৎ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার বিশ্বাস। আর সাহিত্য ও ধর্মের পার্থক্য বা দ্বন্দ্ব হল, সাহিত্য ধর্ম নয় কিন্তু ধর্ম সাহিত্য।
লেখা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ওয়েবম্যাগগুলোকে কিভাবে দেখেন ?
পলিয়ার: কার হাত দিয়ে লেখা প্রকাশ হচ্ছে এটাই বড় কথা। কোথায় প্রকাশ হচ্ছে এটা মোটেও গুণতির বিষয় নয়। সম্পাদক গুণী হলে যে কোনো প্রকাশ মাধ্যম-ই ভালো। আর যোগ্য সম্পাদক না হলে ওয়েবম্যাগ বলেন আর কাগজ বলেন সবই সময় নষ্ট। ভালো লেখা চিনতে হলে পড়–য়া যোগ্য সম্পাদক প্রয়োজন। ওয়েবম্যাগ আছে অনেক। লেখকরাই বা নাম জানে ক’টার? ‘মেঘচিল’কে রুচিশীল লাগে। পরস্পর, চিন্তাসূত্র, তীরন্দাজ গতানুগতিক। ‘শিরিষের ডালপালা’ আর ‘লাল জীপের ডাইরী’ কার্যত বন্ধ।
লেখার সন্তুষ্টি নিয়ে কোন লেখককে কি কখনো থেমে যাওয়া উচিত? আপনার মতামত কি?
পলিয়ার: প্রশ্ন-ই ওঠে না। লেখকের সন্তুষ্টির দরোজা চিরকাল বন্ধ। জোর করে তাকে খুলতে গেলে এমনি এমনি লেখার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শিল্পীকে জানতে হয় কোথায় থামতে হবে?
আপনার কবিতা আপনার সমসাময়িকদের থেকে কোন জায়গাটায় আলাদা বলে আপনি মনে করেন?
পলিয়ার: এটা পাঠকরাই ভালো বলতে পারবেন। কিংবা সমালোচকরা। নিজের কবিতা অন্যেদের থেকে যেভাবে আমাকে আলাদা করে বলে বোধ করি তা হল, রোমান্টিসিজম ও ন্যাচারালিজম। সাথে সাথে আমি রিয়েলিজম তথা ম্যাজিক রিয়ালিজম ও সুররিয়ালিজম দ্বারা প্রভাবিত। শহরে থেকেও আমি মোটেও নাগরিক নই। ভাষায় ও শব্দে আমি প্রাকৃতিক কিন্তু বিশ্বাস ও চিন্তায় ভাববাদী। যুক্তিতে আমি মুক্তি খুঁজতে রাজি নই। মগজের চেয়ে আমার কাছে মনের দাম বেশি। ফলে সময়ই কাব্যের প্রকৃত নায়ক। সত্য, সুন্দর ও সাহসের সমাচারে আমি সমকালীন ও দ্বা›িদ্বক বস্তুবাদী। এসব মসলার মিশেলে যে শরবত হয় তার স্বাদ অন্যদের থেকে আমার কবিতা আলাদা করে রাখবে হয়তো সহজে।
আপনার কবিতা লেখার কৌশল মানে আপনি কি এক বসায় কবিতা লেখেন, না কি বারবার সংশোধন করেন? কোন নির্দিষ্ট সময় আছে কবিতা লেখার?
পলিয়ার: আমি এক বসায় কবিতা লিখি। তবে কিছু দিন রেখে দিই। পরে বার বার ঘষামাজা করি। হাতে ছুরি থাকলে কার না অকারণে বৃক্ষের মুন্ডুপাত করতে আনন্দ লাগে!
না আমার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই কবিতা লেখার। আমি চলন্ত অবস্থায় লিখি। গতিতে থাকলে আমার লেখা বেশি ধরা দেয়। গ্যাঞ্জাম ও গেদারিংয়ে আমি ভালো লিখতে পারি। তার মানে ভিড়ে আমি একাকী ও নীড়ে সঙ্গীন হতে পারি। মজার বিষয় হল, টিস্যুপেপার, সিগারেটের কাগজ, যে কোনো গাছের পাতায়, স্মৃতির মাথায় বা রাস্তায় পাওয়া ময়লা কাগজেই আমার সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে কবিতা। এবং তা কয়েক মুহূর্তে। সেজেগুজে লিখতে পারি না, লেখা আমাকে সাজিয়ে তোলে।
বর্তমান সময়ের কবিতার বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্নতা ও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ আছে। আমার মনে হয় অপাঠকের পরিমাণ বেশি। আপনি কি মনে করেন?
পলিয়ার: কবিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলেই কবিতা অভিমানী। মুড়ির চেয়ে সন্দেশে মানুষের লোভ বেশি। তাই অভিযোগও বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। জনবিচ্ছিন্নতা ও দুর্বোধ্যতার যে শ্লোক পাঠক বলে তা কি শুধু কবির একার দোষ? জীবন জটিল হলে কবিতাও জটিল হবে এটাই নিয়ম। অভাব বা প্রয়োজন না থাকলে আবিষ্কার হবে কীভাবে? অপাঠক বলে আসলে কিছু হয় না। অপাঠক বললে পাঠকেই ছোট করা হয়। অমানুষ লিখতে গেলে যেভাবে অ-এর পর মানুষ লিখতে হয় তেমনি ‘কবিতার’ আগে ‘কবি’ লিখতে হয়। ফলে কবির জীবন যখন কঠিন হয়ে ওঠে তখন সে আর সহজ কবিতা কীভাবে লিখবেন? সহজের সাধনা যে দিন দিন দীন হয়ে যাচ্ছে। সেভাবে লীন হয়ে যাচ্ছে সরলতা। তবে জটিলকে সহজ করাও কিন্তু শিল্পীর কাজ। এমনটি বিশ্বাস করি আমি।
যা মানুষের বোধগম্য নয় তা কখনো শিল্প হতে পারে না। শিল্পীর কারবার-ই তো মানুষ। তাই মানুষকে বোঝানোর দায় তার উপর বর্তায়। এ ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে পারি বাংলাদেশের প্রখ্যাত দুই চিত্রকরকে। জয়নুল আবেদীন ও এস এম সুলতান। তাদের ছবি বোঝেন না এমন মানুষ আপনি আমাকে দেখাতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ এক চাটিয়া চিত্রকলার উদহারণ দিয়ে কবিতাকে সহজ করার উকালতি আমি করছি না। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো কোন কবিতাটি সাধারণ মানুষ বোঝেনি? বরং সাধারণ পাঠক বা একটু অসাধারণ পাঠক যাই বলি না কেন সবাই যখন বোঝে তখনই সেটা অমর হয়ে ওঠে।
বর্তমানে পুরস্কারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে প্রকৃত লেখকের পুরষ্কার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। পুরস্কার কি লেখকের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, না করে না?
পলিয়ার: পুরস্কারের বিপরীত শব্দ তিরস্কার। ফলে এটা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া মামুলি ব্যাপার। আর একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনো লেখক কি পুরস্কার পাওয়ার জন্য লিখতে আসছে? আসেনি। লেখার পর তিনি কিছু সম্মান পান। তো সম্মান আপনাকে কারা দিচ্ছে? এটা একটা বড় ব্যাপার। যিনি লেখক পুরস্কার পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তার কোনো হেডেক নেই।
কবি বা লেখককে কতটুকু রাজনীতি সচেতন হতে হয়?
পলিয়ার: মানুষের প্রতিটি সংগ্রাম ও লড়াই রাজনীতির অংশ। এখন এই লড়াই সংগ্রামকে আপনি কোন পাল্লায় ওজন করছেন সেটা বিবেচ্য। আপনি যদি ভালো করে নজরুল আর জীবনানন্দ দাশের দিকে তাকান। তাহলে দেখতে পাবেন দুজন স্বতন্ত্র্য শিল্পী। আপতভাবে মনে হবে নজরুল রাজনীতি সচেতন। একই সঙ্গে বিদ্রোহী ও প্রেমিক। গান ও শব্দে মুখর। অন্যদিকে জীবনানন্দ ঐতিহ্য ও ইতিহাস সচেতন। বিরহী ও প্রেমিক। ভাব ও ভবে নিরব। তাহলে কী তাদের মূল পার্থক্য দ্রোহে ও প্রতিবাদে? ইতিহাসে কি রাজনীতি থাকে না? একই সালে জন্ম নিয়েও দুজন সমানভাবে আলাদা। নজরুলকে বুঝতে হলে যেমন নৃ বিজ্ঞানের সাব অল্টার্ন পাঠ করতে হবে। তেমনি জীবনানন্দকে বুঝতে হলে ইতিহাসের রাজনীতি বুঝতে হবে। নজরুল ধর্মের গর্ব (ইসলাম-সনাতন) ও মার্কসীয় দর্শন সমানভাবে কাজে লাগিয়েছেন। শহীদ কাদরী বলেছেন, নজরুল আমাদের নেরুদা। আমি বলল, জীবনানন্দ আমাদের এলিয়ট। কিন্তু তারা দুজনই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। শিল্পী মাত্রই প্রতিবাদী স্বভাবের সন্তান। বীজে তাদের দ্রোহের গান আঁকা থাকে। কিন্তু পাতা ফুল ফল হতে হতে তারা আলাদা হয়ে যান। কেউ শিউলী তো কেউ গন্ধরাজ। ফুল হলেও তারা বৃক্ষের জাত।
এখন কোন কি বই পড়ছেন?
পলিয়ার: এক সঙ্গে আমি একাধিক বই পড়ি। হোসেনউদ্দীন হোসেনের ‘বাঙলার বিদ্রোহ’, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী’ ও মোজাফফর হোসেনের ‘বিশ্বগল্পের বহুমাত্রিক পাঠ’ পড়তেছি। সাথে জাহানারা পারভীনের কবিতা ও সরকার মাসুদের গল্পও পড়ছি।
আপনার প্রিয় লেখক কারা?
পলিয়ার: প্রিয় লেখক তো অনেক। দেশের কবিদের নাম তো বলেছি উপরে। এবার বিদেশি বলি। জালালউদ্দিন রুমি, মির্জা গালিব, আল্লামা ইকবাল, কাহলির জিবরান, মাহমুদ দারবিশ, এজরা পাউন্ড, টি এস এলিয়ট, ডব্লিউ বি ইয়েটস, এডগার এলান পো, চিনুয়া আচেবে, পাবলো নেরুদা, শেলি, কিটস, নাজিম হিকতম, গুন্টার গ্রাসসহ আরো অনেকে। গল্পকার: মোপাঁসা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এ্যান্থন চেখভ, ফ্রানৎস কাফকা, প্রেমেন্দ্র মিত্র, রশীদ করীম, আল মাহমুদ, হুমায়ূন আহমেদ, শহীদুল জহির, আশান উজ জামান। উপন্যাসিক: লিও তলস্তয়, ভিক্টর হুগো, হেমিংওয়ে, জেমস জয়েস, সতীনাথ ভাঁদুরী, পাওলো কোয়েলহো, মানিক-বিভ‚তি-তারা।
আগামীতে কোন বই বের করছেন?
পলিয়ার: এখনো ভাবিনি। তবে ‘না’ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
No comments:
Post a Comment