রবিবার
৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৪ই জুন ২০২০
কবিতা
স্বপঞ্জয় চৌধুরীআগুন পাখি
পাখির চোখে আগুন দেখে ভুলে গেছি শৈশবের মানে
স্বপ্ন ও বাস্তবতার মাঝ বরাবর পড়ে আছে
কিছু নীড় ভাংগা খড়ের কুটো,
পাখি হতে চেয়ে বার বার খুনী হয়ে যাই
শিশু হতে গিয়ে ডুবে যাই পাপের শহরে।
আমায় পেছন থেকে টেনে রাখে অতীত, স্মৃতি, বিস্মৃতি
আমায় বেধে রাখে সংখ্যায়, ব্যমো ও ব্যাধিতে।
আমি আকাশ ছুঁতে গিয়ে বার বার ডানা ঝাপটাই
নিচে ভ‚পতিত হই, ভস্ম হতে গিয়ে আবার সৃষ্টি হই।
পাখির চোখে আগুন নয় জ্বলছে নতুন সম্ভাবনা।
সাকিব জামাল
জীবন একটি সংখ্যামাত্রঃ সবুজ অথবা লাল!
আঁধার এবং আলোর পার্থক্য নেই পৃথিবীর বুকে এখন!
দিনে রাতে করোনার ভয়ঙ্কর ছোবলে ছোবলে
ক্লান্ত মানবজাতি আজ দিশাহীন।
প্রচণ্ড ঝড়ে দমকা হাওয়ায়
অশান্ত নদীতে উথাল-পাথাল ডিঙ্গী মাঝে
সাঁতার না-জানা শংকার জীবন।
প্রথমত আক্রান্তের সংখ্যা তালিকায়।
শনাক্ত কিংবা অশনাক্ত!
তারপর কিছুদিন বাঁচার লড়াই...
অবশেষে, সুস্থ্য অথবা মৃত।
পরিণতিতে হিসাবের খাতায় বাড়ে একেকজনে একেকটি-
সবুজ অথবা লাল সংখ্যা!
পুনশ্চ, দুঃসময়ের পৃথিবীতে নিয়তি নির্ভর মানুষ। যেখানে-
জীবন একটি সংখ্যামাত্রঃ সবুজ অথবা লাল!
রাজীব পাল
ঘোড়া
সন্ধের টেবিল সারা রাত জেগে থাকে
চার পায়ে তার ঘোড়ার জীবন ...
এখন ভেবে নাও
শূন্যতা না মানচিত্র
জিভ গজিয়ে ওঠে কী দেখে তোমার?
এরপর না হয় ডানা ও পায়ের গল্প ...
আহমেদ সুমন
পৃথিবীর কাছে প্রশ্ন
নিস্তব্ধ রাতে দূর আকাশে তাকিয়ে
কুয়াশায় আচ্ছন্ন এই পৃথিবীর কাছে
জানতে খুব ইচ্ছে হয়;
শত আঘাত, যন্ত্রণা সহ্য করে নেওয়া
মহীয়ান, ক্লান্ত মানুষগুলো
কেনো আজো নির্ঘুম রাত কাটায়?
শহরের অলিতে-গলিতে আজো কেনো?
ভবঘুরের মত চরিয়ে বেড়ায়
সুদর্শন, বুদ্ধিদীপ্ত, নক্ষত্রময় যুবক।
পঙ্গু পিতা, শয্যাশায়ী মায়ের আর্তনাদ
এই পৃথিবীর বুকে কী প্রতিধ্বনিত হয়না?
শীর্ণ জামা গায়ে জড়ানো
বোনের হৃদয়ের কোণে লালিত স্বপ্ন,
এই পৃথিবী কী উপলব্ধি করেনা?
পথ শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে
তার হৃদয়ের লুকানো ব্যাথা,
এই পৃথিবী কেনো বুঝতে পারেনা?
ক্ষুধায় কাতরানো শিশুর আর্তনাদ,
গৃহ হারা বৃদ্ধ পিতার হাহাকার,
গৃহিণীর শূন্য উনুনের ধোঁয়ার ক্রন্দন,
এই পৃথিবী কী শুনতে পায় না?
তবে কেনো এই সবুজ ঘাস, কোকিলের কুহুতান?
কেন এই দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ?
তবে চারদিকে কেনো এত সাম্যের জয়গান?
তবুও, স্বপ্ন দেখি, কান পেতে থাকি,
কোন এক নিস্তব্ধ রাতে তারকারাজি
আমায় বলবে ;
মহীয়ান মানুষগুলো আজ ঘুমন্ত,
সুদর্শন, নক্ষত্রময় যুবক আজ ব্যস্ত,
বোনের গায়ে আজ ফুটফুটে লাল শাড়ী,
পথ শিশুর মুখে আজ দুরন্ত হাসি।
তৃষ্ণার্ত কাকের মতো, আজো ঘুরি আমি
সে সুদিনের আশায়।
জীবনের তরী বেয়ে যদি ওপারে চলে যাই
তবুও, রাতের তারা হয়ে দেখতে চাই;
আবারো এই ধূসর পৃথিবী মুখরিত হবে,
সবুজের সমারোহে!
ছোটগল্প
প্রায়শ্চিত্তরিয়ানো
ঝড় বাড়ছেই। বাজ পড়ার প্রবল শব্দ। বৃষ্টির পানি আর ঠাণ্ডা বাতাসে ওদের গায়ে কাঁপুনি ধরে গিয়েছে।
কাঁপতে কাঁপতেই আজমল বললো, ‘তর কি মনে অয় হাসমইত্যা, হেদিনের পাপের কারণেই আমগো এই অবস্থা?’
হাসমত বিরক্ত হলো। ‘দ্যাখ আজমল, একটার মইদ্যে আরেকটা আনবি না।’
ঝড়ে, বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ অবস্থা তাদের। এর ভিতর আজমলের উল্টাপাল্টা প্রশ্ন। হাসমত একটু গোড়া থেকে ভাবে।
বরাবরের মতো খ্যাপ মারতে বেরিয়েছিল তারা। মাঝে মাঝেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেলিভারী পড়ে তাদের। আর্জেন্ট ডেলিভারী থাকে প্রায়ই। এমনি ডেলিভারী শেষে শহরে ফিরছিল তারা।
গ্রামের রাস্তা। গাছ গাছালিতে পূর্ণ। বিকেল বেলা হলেও আবছা অন্ধকার। মাটির রাস্তা দিয়ে পথ চলায়য় গাড়ির গতি ছিলো কম। ড্রাইভ করছিলো হাসমত। হঠাৎ কি হলো! কোথেকে এক বিরাট গাছের ডাল এসে পড়লো তাদের সামনে। প্রায় ভৌতিক ব্যাপার।
এরকম বলা নেই, কওয়া নেই, ট্র্যাকের সামনে ডাল ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টা নতুন। হাসমতের মনে একটু খটকা লাগলেও পথ চলতে হলে এটা সামনে থেকে সরাতেই হবে। সে সাতপাঁচ না ভেবে টর্চ হাতে নেমে পড়লো ট্র্যাক থেকে। আজমলও নামলো। ঠাণ্ডা বাতাসে গা জুড়িয়ে গেল তাদের।
চারপাশে বেশ অন্ধকার। অনেক বড় বড় গাছপালা। মনে হচ্ছে জঙ্গল ঘেরা একটা জায়গায় ঢুকেছে তারা। গাড়ির হেডলাইটের আলোয় দেখলো, গাছের ডালটা লম্বায় তাদের দু’জনের সমান! প্রশাখা, লতাপাতায় ভরপুর। এতো বড় একটা ডাল কোন কারণ ছাড়াই উড়ে এসে পড়লো তাদের সামনে! আলগাতে গিয়ে দেখলো, ওজনে যথেষ্ট ভারী।
চিন্তায় কোন ক‚ল পেল না হাসমত। আজমল কোমড়ে গোঁজা পোঁটলা থেকে সিগারেট আর দিয়াশলাই বের করলো। সিগারেট টানতে টানতে তারা ভাবলো কি করা যায়। শেষে এটা সরানোর সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু যেই দু,জনে মিলে ডালটা সরাতে যাবে, অমনি প্রচণ্ড জোরে বাতাস বইতে শুরু করলো। সেইসাথে ধুলা। ধুলায় ওদের চোখ জ্বালা করে উঠলো।
দু’হাতে চোখ ঢেকে ধুলা থেকে বাঁচতে ট্র্যাকে উঠতে যাবে, অমনি ডালের সাথে পা বেঁধে পড়ে গেল দু'জনেই। হাসমতের হাত থেকে টর্চটা ছিটকে গেল। এরই মধ্যে শুরু হলো বৃষ্টি।
হাসমত কোন রকমে উঠে দাঁড়াল। কিন্তু আজমল পারলো না। একটা চিকন ডালের সাথে পা আটকে গিয়েছে তার। হাসমতকে ডাক দিলো সে। হাতড়ে হাতড়ে টর্চটা খুঁজে বন্ধুকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলো হাসমত। অনেক কষ্টে বের করে আনলো আজমলের পা। কিছুটা ছিলে গিয়েছে গোড়ালির কাছটায়। ব্যথা করে উঠেছে।
ইতোমধ্যে দু’জনেই ভিজে গেছে। বৃষ্টির সাথে জোরালো বাতাস থাকায় শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে দু’জনেরই। লম্বা লম্বা পা ফেলে ট্র্যাকের কাছটায় গেল তারা। বৃষ্টির পানিতে মাটি ভিজে কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু তখন বাঁধলো আরেক বিপত্তি। ট্র্যাকের দরজা কিছুতেই খুলছে না। অনেক টানাটানি করেও কিছু হলো না। হতভম্বের মতো একে অন্যের দিকে তাকালো আজমল আর হাসমত। এসব কি হচ্ছে?
এখন এসব ভাবার সময় নেই। বৃষ্টির ঝাপটা থেকে বাঁচা দরকার। নাহয় ঠাণ্ডায় মরতে বসবে দু’জনেই। শেষে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে গেল তারা। উদ্দেশ্য, বড় কোন গাছের নিচে আশ্রয় নিবে। এরই মধ্যে প্রচণ্ড শব্দে বিদ্যুৎ চমকালো। সেই আলোয় ওরা দু’জন দেখতে পেল অদূরেই পুরনো টিনের একটা ছাউনি রয়েছে। সেদিকে এগিয়ে গেল দু’জন।
টিনের ছাউনিটায় ঢুকতেই বোঁটকা এক গন্ধ নাকে এসে লাগলো তাদের। সম্ভবত: অনেক আগে এখানে পশু পালন করতো কেউ। টর্চ জ্বেলে হাসমত দেখতে পেল খড়ের একটা গাঁদাও রয়েছে।
খুপরিটার ভিটা উঁচু না হওয়ায় সহসাই বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতে শুরু করলো। দু’জন তাই বেয়ে বেয়ে খড়ের গাঁদাটার ওপরে উঠলো। বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে!
কোমড় থেকে পোঁটলা বের করে ফের সিগারেট ধরালো আজমল। শরীরটা একটু গরম করা দরকার।দু’জনেই পুরোপুরি ভিজে গিয়েছে। ভাগ্যিস পলিথিনে মোড়া ছিল সিগারেটটা!
আজমলের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। চুল, দাঁড়িতে পাক ধরেছে। হাসমত সে তুলনায় কিছুটা শক্ত সমর্থ। পরনের শার্টটা খুলে পানি নিংড়ে নিল হাসমত। তখনই খড়ের গাদা থেকে টর্চটা নিচে পড়ে গেল। বাইরে তখন প্রকৃতির উন্মত্ত লীলা চলছে। বড় বড় গাছ নুয়ে পড়ছে, ডালপালা ভেঙ্গে পড়ছে। বাতাসের সাঁ সাঁ ধ্বনিতে কান ভোঁ ভোঁ করছিল ওদের।
সিগারেট টানতে টানতে আজমল আপন চিন্তায় ডুবে গেল। ইদানীং এমনটাই হচ্ছে তার। স্মৃতিকাতরতা ভীষণভাবে পেয়ে বসেছে তাকে। একটু আনমনা হলেই নানা চিন্তায় ডুবে যায়। হুঁশ হলে বলতেও পারে না কি ভাবে সে। ভাবতে ভাবতে বহু বছর আগেকার এক স্মৃতিতে চলে যায় সে।
তখন ভরা যৌবন তার। তার ও হাসমতের। টগবগে রক্ত বইছে ধমনীতে। উড়াধুরা জীবন ছিল সেটা। বহু দূর দূরান্তে খ্যাপ মারতে যেত। এমনি একদিন ক্লান্তি আর একঘেঁয়েমি দূর করতে জঙ্গলময় একটা স্থানে গাড়ি থামিয়ে মাল খেল তারা। তারা তিনজন। সে, হাসমত আর অল্পবয়সী একটা ছেলে ছিল সাথে। কি যেন নাম ছিল তার, এখন ভুলে গিয়েছে আজমল। অল্প ক’দিন ওদের সাথে ছিল। ওস্তাদ বলে ডাকতো দু’জনকে।
ফুরফুরে বিকেলে চমৎকার আবহাওয়ায় মাল খেয়ে গামছা বিছিয়ে তাস খেলতে বসলো তারা। সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হঠাৎ আজমল খেয়াল করলো, অল্প দূরেই এক গাছের আড়াল থেকে কিশোরী এক মেয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। দেখে মাথাটা ঘুরে গেল আজমলের। শরীরটা টনটন করে উঠলো। ইশারায় হাসমতকে দেখালো মেয়েটি। অল্পবয়সী ছেলেটাকেও ইঙ্গিত করলো। যেই তারা উঠতে যাবে, অমনি মেয়েটা ছুটতে শুরু করলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আশেপাশে কোন ঘরবাড়ি নেই। মেয়েটা ছুটতে ছুটতে একসময় মাটিতে পড়ে গেল। মেয়েটাকে বাগে পেয়ে তিনজন আচ্ছামতো ভোগ করলো। সুনসান নীরব চারপাশ। ফেরার সময় তাই মেয়েটার গলা টিপে রেখে এলো।
মেয়েটার নিথর দেহটার দৃশ্য মনে আসতেই আজমল একটু কেঁপে উঠলো। মেয়েটা কি দোষ করেছিলো?
এতো বছর পর এই প্রশ্ন তার ভেতর জাগরূক হলো হঠাৎ! একটু আনমনা হয়ে গেল আজমল। হাসমত মৃদু ধাক্কা দিলো তাকে। ‘কিরে আজমইল্যা?’
আজমল হাতে ধরা সিগারেটটা এগিয়ে দেয় হাসমতের দিকে। তারপর হাসমতকে বলে, ‘হেদিনের ঘটনা মনে আছে তর, হাসমইত্যা?’
কোনদিন?
হাসমত অবাক হয়ে তাকায়। আজমল বলতে থাকে, ‘গফুরগাঁওয়ে গেসিলাম আমরা। ফিরনের সোমায় জঙ্গলে বইয়া মাল খাইসিলাম... পাশা খেলসিলাম!’
এক ঝটকায় হাসমতেরও মনে পড়ে যায় ঘটনাটা। সে তো ভুলেই গিয়েছিলো সেদিনের কথা!
প্রথম প্রথম কয়দিন ভয় ভয় লাগতো। কিছুদিন বারি গিয়ে থেকে এসেছিলো। কিন্তু আস্তে আস্তে ভুলে গিয়েছিলো একসময়। ৪৩ বছরের জীবনে তো কতকিছুই ঘটেছে! কিন্তু হঠাৎ করে আজমল আবার সেই ঘটনা তুলছে কেন?
‘তয়, কি অইসে?’
হাসমত গম্ভীর কণ্ঠে বলে। সে এসব কথায় আগ্রহী নয়।
‘আমার ক্যান জানি হেই মাইয়াডার কতা মনে পড়তাসে!’ আজমলের কণ্ঠে ভয় টের পায় হাসমত।
‘তর কি মনে অয় হাসমইত্যা, হেদিনের পাপ আমগো এই অবস্থায় টাইন্যা আনসে?’
হাসমত বিরক্ত হয়। সিগারেটে জোরে টান দেয়। বস্তুটা ফুরিয়ে আসছে। বাইরে দুর্যোগ। কোনমতে আশ্রয় নিয়েছে এই খুপরিতে। রহস্যজনক কারণে ট্র্যাকের দরজা খুলছে না। পথরোধ করে দাঁড়িয়েছে বিরাট গাছের ডাল। এর ভিতর আজমলের এমন উল্টাপাল্টা প্রশ্ন। হঠাৎ বাতাসের প্রতিক‚লে যুদ্ধে ক্ষান্ত দিয়ে মাথার ওপরের পুরনো টিনটা ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ তুলে উড়ে যায়। সেই সাথে ওরা ফের বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে, ঝড়ো হাওয়ায় কাঁপতে থাকে। নিচ থেকে পানি উপচে উঠে খড়ের গাদাও অর্ধেক ভিজে গিয়েছে।
এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর ফের আজমল প্রশ্নটা করেত হাসমতকে।
“তর কি মনে অয় হাসমইত্যা, হেদিনের পাপ আমগো এই অবস্থায় টাইন্যা আনসে?”
কাঁপুনিতে ঠক ঠক করে দাঁতে দাঁত লেগে যায় আজমলের।
“দ্যাখ আজমইল্যা, একটার মইদ্যে আরেকটা টানবি না!” হাসমত কাঁপতে কাঁপতে বলে।
এসময় বিদ্যুৎ চমকায়। আলোর বিচ্ছুরণ ঘটলে দু’জন দেখে সাদা কাপড় পড়া অল্প বয়সী একটি মেয়ে বড় বড় চোখ করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দু’জনই ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। একে অন্যের দিকে তাকায়। কেউই কিছু বলতে পারে না।
ফের বিদ্যুৎ চমকালে দেখে মেয়েটা আঙ্গুল দিয়ে তার গলার কাছটায় কিছু দেখাচ্ছে। ধবধবে সাদা মেয়েটার গলায় বেশকিছু আঙ্গুলের ছাপ। রাগান্বিত চোখে বাতাসে ভর করে মেয়েটা ওদের দিকে এগোতে থাকে।
খড়ের গাদা ততক্ষণে বৃষ্টির পানিতে ভেসে যেতে শুরু করেছে।
No comments:
Post a Comment