Monday, August 3, 2020

শিল্প সাহিত্য ১১১

রবিবার ১৮ই শ্রাবণ ১৪২৭, ২রা আগষ্ট ২০২০




কবিতা

অভিলাষ অভি
“বুকের যত দাউ দাউ”

আমাকে ভুল বোঝার অনেক মানুষ আছে
হয়তো অনেকে জন্মাবে
আবার এমনও হতে পারে ভুল বোঝা মানুষটা
জীবনের শেষ দিনে সঠিক বুঝে চলে যাবে আকাশে।
এখনও যে তারার দিকে তাকাই;
তারা আমাকে সঠিক বোঝার মানুষ ছিলো-
আপনি ভুল বুঝে যান, অভিযোগ নেই
সঠিক বুঝবেন না-
সঠিক বোঝা মানুষ গুলো মহৎ
মহৎ মানুষ তারাতারি তারা হয়ে যায়।
আমাকে সঠিক বুঝে কাঁদবেন না
এখনও যখন নদীতে যাই সেই জল নোনতা
একদিন এই নদীও আমাকে সঠিক বুঝেছিলো।
আমি বলিনি আমাকে বুঝুন কেউ
কেউ তো বুঝুন, এতটা ঢেউয়ে
একটা নদীর যতটা ব্যথা।
তার সহস্র গুন ঢেউ তো আমার বুকেও হয়।
আমাকে বোঝার মত কেউ হোক ।।

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
বাসনা

সেই জলস্তম্ভটি ঘিরে আজো দুর্নিবার আকর্ষণ
দেহে আর মনে, তীরভ‚মি জ্বলে ওঠে
গ্রীবার ভঙ্গিমায় বনে আর ঈশানির কোণে
অনিদ্রা অশান্তির দেশে যে যাবে অনেক দূর
তাকে বলি ধীরে আমাদের বন্ধুতা নেই
সহকর্মীদের শঠতা আছে আর আছে
হিংসার প্রজ্জ্বলন
যদিও এইসব সম্পর্কের  ডালপালা চিরভঙ্গুর...
আজ যা বলার আছে
সহজ প্রেমের কাছে অঙ্গীকার ভেঙে যায়...
রাতজাগা পাখিরা তখন জানলার পাল্লায়
বসে অষ্ফুট ডাকে
মনে হয় নতুন খেলার জন্ম হলো বুঝি
কতদিন আমার মতোই তুমিও ভেবেছিলে
এভাবেই শুরু হয় জীবন...
ঘৃণা রিরংসা তার কিছু পরে হয়তোবা
বসিয়েছে থাবা,জেগে র ইলো
নিবিড় স্পর্শ টুকু,অবিরাম বৃষ্টি দিয়ে শুরু হওয়া
ভালো নয়, ভালো নয় এইবেলা নির্ঘুম বাসনায় 
নিমজ্জিত হওয়া ...

মোনাব্বার মোনায়েম
সবেগের গতিময়তা

তোমার নাঙা পায়ের দোপাট্টা ভাজ খুলে দাও তিথি 
একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে উর্বশির জাগরণী কীর্তি
হাওয়ার দাপটে কেঁপে ওঠে সবুজ দিগন্তের বনবিথি
ঘনিষ্ঠ ঘনায়ে শীর্ষোঞ্চে ভেসে ওঠে একফালি ফ‚র্তি
সে এক কামনার ঝড়ো হাওয়া উন্মুখ হয়ে আছে
দক্ষিণ সমুদ্রের বাসনা ঢেউ উত্তাল হয়ে আসে
সলীল সমুদ্রের অতলান্তের প্রদীপ্ত-সুখ মধ্যদুপুরে ডোবে আর ভাসে
পূর্ণিমার চাঁদ চন্দ্রমল্লিকার ঠোঁটের চুমু ভোগ ঘোরে বেঘোরে মোহাচ্ছন্ন নদীজলে হাসে
ডুবুরি সে ঝিনুকের ভেতর ভাঁজে ভাঁজে যুঁথিবদ্ধ খাঁজে, খোঁজে অজস্র মুক্তারাশি
দু’ফোঁটা জল ভেজায় তারে দ্বৈত আবেশে স্যাঁতসেঁতে জল ভরে দেয় ছোট্ট সোনার শিশি
বিনোদিনির সেই সুখ-স্মৃতিতে জাবড় কেটে কেটে যায় মধুবালার আদিগন্ত দিবানিশি
প্রবল জড়ায়ে ঝরায়ে ঝরায়ে উষ্ণতায় কাঁপে অর্ধবৃত্ত উঞ্চষীর অনলথাবার থরথর মাংস
মোহনায় সবেগে বেড়িয়ে আসে সুখের অংশ আবেশে তলিয়ে যাওয়া জলধারার কিয়দাংশ

কেয়া সরকার গুহ রায়
আর যাই হোক ভালবাসা নয়

সন্ধ্যার আকাশ শরৎ মেঘের কারিকুরি
সোনা আলোর প্রলেপ দিচ্ছে ফেলে আসা বিকেলের গায়
রোদ চশমার আড়ালে তোমার চোখ উজান ভাঙা অজয়
হৃদয় একবুক সমুদ্দুর, চামড় দোলা কাশবনে একহাঁটু জল
অনিন্দ্য কুমারীকা পরিবেশ মাটির কাছাকাছি বাস
বহুকেলে অজুরা স্বার্থ নগরীর নিরেট বলয়, দুটো পথ বেঁকে ছিল পথের দাবীতে
একঘেয়ে চেনা মুখের মিছিল ফেলে মাঝেমধ্যে একাকী হৃদয়ে রঙ লাগা
সে তো ব্যস্ততার ভিড়ে একাকীত্বের বুকে নতুন করে দোলা দেওয়া
অলিন্দের কালসিটে দাগে সন্ধ্যা ঘন মালতীর মৃদু চুম্বন
সে আর যাই হোক ভালবাসা নয়
ধোঁয়াটে হেয়ালির বিলাসিতা

সজল রানভী
সমসাময়িক প্রেম”

গোলাপ গোলাপ প্রেমটা বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। তুমি বরং একটা সিগ্রেট, একটা দেশলাই দিতে পারো। রুমালে সেলাই করা ডাকনাম কিংবা চিঠির ভাঁজে লিখে দেয়া একবিঘা চুমু ফ্রিজে তুলে রেখে তুমি বরং জ্যোৎস্না বিলাতে পারো হোয়াটসঅ্যাপে, মেসেঞ্জারে।
তুমি বরং আফিম নাভিতে প্রার্থনা করতে পারো গন্দমের লোভ লালসা।

ঐসব বাড়ির সামনে দিয়ে বেলা অবেলা হেঁটে যাওয়া, টিফিন পিরিয়ডে চোখাচোখি, অংকের খাতায় বাপ দাদার পৈতৃক ছন্দ বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। তুমি বরং মদের দোকানে একটা বিকেল গিলতে পারো গোগ্রাসে। একটা সন্ধ্যা গিলতে পারো কফি কাপে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বান্ধবীর বাসায় দেখা করা ব্যাকডেটেড। তুমি বরং আবাসিক হোটেলে লুফে নিতে পারো দেড়শ মিনিটের মেগাপিক্সেল প্রেম ।।

তামান্না মেহেরুন
ইহা কোনো কবিতা না- বিশ শতকের জানালা

এগুলারে জানালা কয়? মোটা কাঁচে ঢাকা, শক্ত লোহার শিকে গড়া, ছোট্ট জেলখানার মত। জানালা হইলো মুক্তির সোপান শ্বাস নেওয়ার হালাল দরজা। জানালা হইতে হইব এক দেয়ালের দুই ভাগের এক ভাগ, যেখানে চোখ মেললেই আকাশ দেখা যাইব, মেঘ দেখা যাইব, বৃষ্টি ছোঁয়া যাইব, বুক ভরে শ্বাস নেওয়া যাইব। জানালায় কোনো লোহার শিক থাকতে পারত না, থাকব কাঠের দুইটা কপাট, হাওয়া দিলেই দেয়ালের সাথে বারি খাইয়া জানালার জানালার মত শব্দ হইব। তইলে শিকের বদলে কয়টা সবুজ লতা জড়াইয়া থাকলে খারাপ হয় না। জানালা হইতে হবে প্রেমের মতন, ভালোবাসার মতন, শোকের সাথী, ব্যথার সাথী, আনন্দের অশ্রু।

অনিরাপত্তার বেড়াজালে আটকাইয়া জানালা হারাইলো তার আপনা বৈশিষ্ট্য, জীবন আর আত্মা।

এসবেরে প্রেম কয়?? আধমরা, নৈশব্দ, নগ্ন আর ফরমালিনে গড়া। শ্বাস নেওন যায় না, কথার পিঠে কথা কওন যায় না। বৃষ্টির মত ঝইরা পড়া যায় না। মাটির মতন উর্বরতা পায় না। দুই কথায় বিচ্ছেদ, তিন কথায় চউখের কাঁটা, চাইর কথায় মরণের স্বাদ, পাঁচ কথায় বিশ্বাসের আত্মহত্যার মিছিল, ছিঃ ছিঃ।

প্রেম হইতে হইব বর্ষার কদমের মিঠা ঘ্রাণের মত, বিলের ফোঁটা প্রথম শাপলার মত। রইদ, বৃষ্টি, ঝড়, তুফান সব সইতে হইব।

নগ্নতা ঢাইকা দিব, বন্দীরে মুক্তি দিব আত্মার তৃষ্ণা চোখে মিটাইব। অদৃশ্য দুইটা পাখনা গজাইব, অন্তরে তৃপ্তি আইন্না দিব। বিচ্ছেদ নামের কোনো কীটের ঠাঁই হইব না, অবিশ্বাসেরে সাপের বিষ দিতে হইব, ভরসার গলায় জড়াইয়া ধইরা ফুল ফুঁটাইব একশ বাগানে।

অপ্রেমের লাইগা পৃথিবী হারাইল তার আপনা বৈশিষ্ট্য, জীবন আর আত্মা।

ছোটগল্প
এ্যাম্বুলেন্স
দেবাশীষ ধর

কাঁচপুর ব্রীজটি হেঁটে পার হওয়ার পর একটি এ্যাম্বুলেন্স পেয়ে তাতেই উঠে পড়লো সাদ্দাম। যাত্রী ছিল মাত্র একজন, সামনে বসা এক তরুণ মুখে অক্সিজেন মাস্ক। ছেলেটার পাশের দিকে লম্বা সিটটায় একটু দূরত্বে বসলো সে। প্রায় এক ঘন্টা যাবত একনাগাড়ে হেঁটে পা পুরোটায় ব্যাথায় জ্বলছে। এ্যাম্বুলেন্স থেকে ঔষুধের কড়া গন্ধ বের হচ্ছে, জানালাও বন্ধ। সাদ্দামের একটু টেনশন শুরু হলো- নাকে মরা মানুষের গন্ধ! কোন মরা মানুষ এটা বয়ে নিয়ে যায়নি তো! আমাদের দেশে এ্যাম্বুলেন্সেই তো অর্ধেক মানুষ মরে যায়।’ কিন্তু কি আর করা! সে ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে এই পর্যন্ত আসতেই এটাসহ ছ’বার গাড়ি পরিবর্তন করেছে। পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট তো আছেই। এটাও ফেনী পর্যন্তই যাবে। তারপর অগত্যা হাঁটা বা গাড়ির অপেক্ষা। যত তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারে ততই ভাল এই সঙ্কট সময়ে। আম্মার তিনটা কল ধরা হয়নি। রাস্তায়  কোন গাড়ি নেই, খুব দ্রæত চলছে। সামনের ছেলেটা একবার কাশি দিলো। সিটের ব্যাক পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের স্প্রেটা দিয়ে হাতটি ধুয়ে নিল। অনেকক্ষণ যাবত হাত পরিস্কার করা হয়নি। ছেলেটার আবার কাশি দিতেই মুখের মাস্কটা আবার নাকের উপরে তুলে দিল। খুব বিরক্তি আর টেনশন বাড়ল যেন নিঃশ্বাস নিতে পারছে না- ‘বয়সে তার কাছাকাছি হবেই মনে হচ্ছে অসুস্থ না তো’! গাড়ির ভেতরে এসি সেজন্যই বোধহয় ঠাণ্ডায় লেগেছে। তাকে দেখে ক্লান্ত মনে হচ্ছে। ‘সাদ্দামেরও ক্লান্ত লাগছে। কুমিল্লায় নেমে গেল ছেলেটা। এইবার সে একা যাত্রী এ্যাম্বুলেন্সে। বলা যায় না ড্রাইভার সামনে থেকে নিতেও পারে। আর বেশি দেরি নেই। সে সামনের সিটসহ আশেপাশে পুরো স্প্রে করলো। নিজের ব্যাগে, হাতেও করলো। জীবাণু ধ্বংস হলো। কিছুটা সুস্থ অনুভ‚তি, তারপরও নাকে মেডিসিনের গন্ধ।

হঠাৎ গাড়িটি থামলো। সাদ্দাম জানালায় সেঁটে হাতটি স্পর্শ করে দেখলো পুলিশের চেকপোস্ট। হয়তো এবার নামতে হবে। বালের চাকরিটায় ছেড়ে দিবে এবার সে। এই কয়দিন পর পর আশা যাওয়া তার আর ভাল লাগছেনা। এবারে দশ দিনের ছুটি দিল। পুলিশ ছেড়ে দিল। গাড়ি আবার থামলো। আবার পুলিশ বড় রাস্তার মোড়ে, এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী নেয়া নিষেধ। সার্জেন্ট ছিল। গাড়ি ঘুরিয়ে পেছনে কিছুদূর এসে থেমে ড্রাইভার তাকে নামিয়ে দিয়ে দিল। এরপর যেভাবে বললো সে তা করলো। সামনে হেঁটে চেকপোস্ট অতিক্রম করে আরো কিছুদূর গিয়ে সাদ্দাম দেখে এ্যাম্বুলেন্সটি ততক্ষণে তার আগেই চলে এসে অপেক্ষা করছে। এরপর আবার যাত্রা। চৈত্রের দুপুরের খাঁ খাঁ রোদ। খিদাও লেগেছে। নাকে মরা গন্ধ। ফেনী এসে এ্যাম্বুলেন্সটি থামলো। সাদ্দাম আবার হাঁটা শুরু করলো। আরো অনেক দূর। রাস্তায় কোন গাড়ি নেই। জনমানবহীন ধু ধু কিছুই দেখা যায় না। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। সামনের দিকে বড় রাস্তার বাঁ পাশে তাল গাছের ছায়ায় একটা মুদির দোকান। সারা শরীর অবশ হয়ে আসলো তার। সেখানে গিয়ে পানি কিনে খেল। টিভিতে নিউজ শোনা যাচ্ছে। একটু আগে আরো তিনজন সনাক্ত হয়েছে করোনা আক্রান্ত, এবারে কুমিল্লায়। একজনকে রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে। বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি।

-কি বলে এসব? সাদ্দামের মাথা ঘুরাচ্ছে। কে শুয়ে ছিল রাস্তায়? কোন রাস্তায়? গরম পানি খেতে পারলে ভাল হতো। অবশ্য রোদের তাপে বোতলটি এমনিই গরম। একটা ট্রাক আসতেছে ডান দিক থেকে হাত দেখালো। ভীষণ খারাপ লাগছে তার। নাকে মরা মানুষের গন্ধ। মাস্কটা গরমে ঘেমে গেল। ট্রাকে উঠলো, ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই বললো, হা ঠিক কুমিল্লায় যাকে পাওয়া গেছে সে নাকি একজন যাত্রী। ঘণ্টাখানিক আগেই ঢাকা থেকে একটা এ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী হয়ে এসেছিল। আশ্চর্য! এ্যাম্বুলেন্স! কোন এ্যাম্বুলেন্স? কিন্তু ছেলেটা তো ঠাণ্ডায়ও কাশতে পারে। অন্য কোন এ্যাম্বুলেন্সও হতে পারে। আশেপাশে তাকাল। একটা জোরে ঝাকুনি খেল। হঠাৎ সাদ্দাম দেখলো নিজেকে, সে এখন একটা এ্যাম্বুলেন্সে বসে আছে। আরে এখানে এ্যাম্বুলেন্স কোত্থেকে এলো? সে তো ট্রাকে উঠেছিল। হা ঠিক তো তাই, সামনের সিটে সেই ছেলেটা বসে আছে। ও এখানে কি করছে! কুমিল্লায় না নেমে গেল! নাকে মরা মানুষের গন্ধ। খুব খারাপ লাগছে তার, বমি আসলো মনে হয়। সে ছেলেটার দিকে চাইলো। গাড়ি কেবল চলছে আর থামে না। মনে হয় তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

খুব জোরে হর্ন বাজলো। একেখান মোড়ে এসে থামল। সাদ্দাম চোখ মেলে দেখে বিকেলের ঝকঝকে আকাশ। ট্রাকের মালের বস্তাগুলোর উপর কখন সে ঘুমিয়ে গেল খেয়াল নেই। খারাপ স্বপ্ন দেখছিল। উপর থেকে নামলো। ভীষণ চা এর তেষ্টা পেল। সারাটা পথ তাকে খুব ক্লান্ত করে দিল। কিন্তু সংশয় এখনো যায়নি। ‘ওই এ্যাম্বুলেন্সটায় কি আক্রান্ত আসলে ধরা পড়েছিল? এরকমও হতে তারও আগে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির ছিল তার সংস্পর্শে ছেলেটাও আক্রান্ত। আর এখন হয়তো ভাইরাসটি তাকে টার্গেট করবে।’
এসব সাত-পাঁচ উত্তরহীন প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরপাকে সাদ্দাম একটা জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে দ্রুত হাঁটতে শুরু করলো।

No comments:

Post a Comment

সর্বশেষ

শিল্প সাহিত্য ১৩৩

সোমবার   ৯ই ভাদ্র ১৪২৭ , ২৪ই আগষ্ট ২০২০   কবিতা বিনয় কর্মকার ছবির গল্প   ভাতের ছবি আঁকতেই, ছিটকে পড়ে কালির দোয়াত! লালরঙা স্রোত, সাঁতারকাট...

সর্বাধিক