রবিবার ২৫শে শ্রাবণ ১৪২৭, ৯ই আগষ্ট ২০২০
কবিতা
আপন রহমান
আজন্ম অন্ধকার
হৃদয়টা এখন শূণ্যতার চিলেকোঠা
বেদনার রুমালে মুছে নিয়েছি
সোনালী অতীত।
হারাতে হারাতে হারিয়েছি সব, সবকিছুই; কিছুই নেই বাকি...
-না প্রেম
-না ভালবাসা
-না স্মৃতি ।
শূণ্য হৃদয়ের খোলা উঠানে আজ বিলি কাটে দুখী বাতাস
না কিছুই নেই-কেউ নেই!
সব কিছু গিলে খেয়ে গেছে
কালের দানব-
আমার সোনালী স্বপ্নগুলো
স্নায়ুর ইচ্ছে গুলো
পুষ্পিত বসন্ত গুলো
-হারিয়ে গেছে;
হারিয়ে গেছে আজন্ম অন্ধকারের বুকে...
আমার হারিয়ে যাওয়া;
প্রথম ভোরের সূর্যটাও
আজ আলো দেয় অন্যের আকাশে...
তাই আজ আমার সঙ্গী
সোনালী স্বপ্ন নয়, পুষ্পিত বসন্ত নয়
চৈতালি সন্ধ্যাও নয়
আজন্ম অন্ধকার...!
উৎপল বাগ
রাতকথা
নিশুতি রাতের অন্ধকারে নিশাচরীয় লীন ঠোঁটে
অব্যক্ত প্রতিধ্বনি
মেঘের আড়ালে নির্ঘুম চাঁদের নিদ্রালু চাউনি !
জল থৈ থৈ রুদালী বুকে প্রতিবন্ধী ছোঁয়ায়
স্বপ্নকথার খোঁজ ঝিঁঝিঁ লাগা দু’চোখে
হিমশীতল বাষ্পের চুপ কথা।
ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনিতে
চুপিসারে নামে হৈমন্তিক রাতকথা
শেষ হয়ে যায় কয়েক মুহূর্তে।
দু’চোখের নীচে গঙ্গা যমুনার পাড় ভাঙা ঢেউয়ে
বুকের বিভাজিকায় জমানো নুড়ি পাথরের ঘর্ষণ
সরীসৃপ শ্লথ গতির বিবর্তন !
সমান্তরাল পথের ধারে আগাছার জঙ্গলে
বিস্মৃত অতীত।
আনোয়ার কামাল এর সাক্ষাৎকার
কবিকে ছন্দের ভেতরেই হাঁটতে হবে
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৬৩ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তার ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে। ছাত্রজীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায়।
ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা ও লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রকাশিত হয়েছে অসংখ্য বই।
সম্পাদনা করেছেন সাহিত্য পত্রিকা ‘নোঙর’। বর্তমানে সম্পাদনা করছেন সাহিত্য বিষয়ক ছোটকাগজ ‘এবং মানুষ’। রাজধানী ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী গৃহিণী। তাদের দুই কন্যা রয়েছে।
সম্মাননা: স্বরূপ সাহিত্য সম্মাননা (২০১৫), বিন্দুবিসর্গ পদক (২০১৯)।
১. লেখার শুরুটা কীভাবে? আর সিরিয়াসলি লিখতে শুরু করলেন কবে?
লেখার শুরুটা স্কুল জীবন থেকেই। দেয়ালিকায় লেখা লিখে লেখালেখি শুরু হয়েছিল। তারপর বিভিন্ন দিবসে পত্রিকা বের করতাম। সেই সময়টা ছিল ১৯৭৭ সাল। ১৯৭৮ সালে কলেজে উঠেই নেশার মতো চেপে বসলো। তবে প্রথম থেকেই সিরিয়াসলি বিষয়টি নিয়েছি। এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
২. যতটুকু জানি, আপনি শুধু কবিতাই লিখেন না, আরো অনেক কিছু লিখেন। আসলে কোনটাতে বেশি স্বাচ্চন্দ বোধ করেন?
আমি কবিতা ছাড়াও ছড়া, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, সাহিত্য আলোচনা, সম্পাদনা, শিশুতোষ গল্প লিখে থাকি। এখানে প্রায় সবগুলো মাধ্যমই আমাকে আনন্দ দেয়। তবে কবিতায় স্বাচ্ছন্দ বোধ করি বেশি।
৩. কবিতার ধ্রুপদী প্রকরণ আপনাকে কতটা টানে বা টানে না?
কবিতায় ধ্রুপদী প্রকরণ আমাকেও টানে।
৪. কবি বা লেখেককে কতটুকু রাজনীতি সচেতন হতে হয়?
একজন কবি মানেই সে সমাজের অগ্রসর একজন মানুষ। সে কখনো কুসংষ্কার, অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের নাবিক হতে পারে না। কাজেই, তাকে অবশ্যই সচেতন এবং রাজনৈতিক সচেতন হতে হয়। তাকে যেহেতু সমাজের যাপিত জীবনাচার নিয়ে লিখতে হয়, পোড়খাওয়া মানুষের বেদনাকে কবি তুলে ধরে। কবিতায় প্রেম, দ্রোহ তার কবিতার উঠে আসে। সেকারণেই কবিকে রাজনৈতিক সচেতন হতে হয়। তবে তাকে সরাসরি রাজনীতি করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।
৫. লিটলম্যাগ মানে শুধুই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা? আমার মনে হয় লিটলম্যাগগুলো নিজেই প্রতিষ্ঠান হয়ে যাচ্ছে। আপনার মত কী?
প্রচল প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নাম ছোটকাগজ বা লিটলম্যগ। একসময় এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি ভাবা হতো। তাছাড়া লিটলম্যাগ যারা করছে, যাদের সাথে নিয়ে করছে, তারা নিজেরাও তো এক একটি প্রতিষ্ঠানের মতো দাঁড়িয়ে গেছে। এক অর্থে লিটলম্যাগ প্রতিষ্ঠান তো বটেই।
৬. ‘এবং মানুষ’ এর শুরুর গল্পটা বলবেন?
‘এবং মানুষ’ ২০১৪ সালে প্রথম বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ম‚লত: বৈশাখকে নিয়ে সবাই নানান আয়োজন করে থাকেন। তবে কবিতাকর্মীরা বৈশাখে একটি বৈশাখী কবিতা উৎসব করতে পারে না কেন? এ চিন্তাটা আমার মাথায় প্রথমে আসে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কয়েকজনের সাথে আলাপ করা হয়। এর মধ্যে কবি সোহাগ সিদ্দিকীকে আমি বিষয়টি নিয়ে খসড়া একটা ধারণা দেই। তারপর আমরা দুজন মিলে আরো কিছু সাহিত্য কর্মীকে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে একটি বৈঠক করি। সেখান থেকেই ম‚লত: শুরু। এখন প্রতিবছর দুজন সাহিত্যকর্মীকে নগদ অর্থসহ সম্মাননা এবং একজন তরুন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে বাংলা ভাষাভাষীর লেখকদের নিয়ে প্রতি বছর বৈশাখী কবিতা উৎসব করা হচ্ছে। এবার প্রস্তুতি নিয়েও করোনার কারণে করা সম্ভব হয়নি। এ সবকিছুর আয়োজন ‘এবং মানুষ’ এর ব্যানারে।
৭. ‘‘এবং মানুষ’ তার চিন্তার জায়গায় কতটুকু লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে আপনি মনে করেন?
‘এবং মানুষ’ মুক্তচিন্তার ছোটকাগজ। নতুনের কেতন উড়ানোর স্বপ্ন ধারণ করি। এখানে জীবনে ছাপার হরফে প্রথম লেখাটি ছাপা হয়েছে এমন অনেক তরুণকে আমি তুলে ধরেছি। মফস্বলের একজন লিখিয়ে প্রবীণ লেখকের সাথে নবীন একজন লেখকের সেতুবন্ধন করতে পেরেছে। খুঁজে খুঁজে বের করে প্রকৃত সাহিত্যকর্মীদের নগদ অর্থসহ সম্মাননা প্রদান করেছি। এছাড়া গত বছর থেকে তরুণ একজন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। বৈশাখ নিয়ে বাঙালির নানান আয়োজন। তবে বৈশাখে কবিতা নিয়ে উৎসব নয় কেন? এ চিন্তা থেকেই প্রতিবছর বৈশাখী কবিতা উৎসব এর আয়োজন করে আসছি। ৫বার এ উৎসব করেছি। দুই বাংলার লেখকদের একটি মিলনমেলায় পরিণত হয় এ আয়োজন। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি সংখ্যা নিয়ে পাঠোন্মোচনের মাধ্যমে একটি সাহিত্যকর্মীদের মিলন মেলার আয়োজন করে এসেছি। এসব দিক থেকে আমি মনে করি আমার লক্ষ্য কিছুটা হলেও প‚রণ করতে পেরেছি।
৮. এ সময়ের কোন কোন কবির কবিতা আপনাকে ভাবায়, থমকে দেয়?
বর্তমান সময়ের অনেক তরুণ কবিই ভালো লিখছেন। অনেকের কবিতাই আেমাকে মুগ্ধ করে। তবে সেই কবিদের আবার সব কবিতাই না। অনেক কবিতাই টানে। তান নাম নাই বা বললাম। তবে এটা বলি তরুণ কবিদের নিয়ে আমি আশাবাদী।
৯. লেখা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে কীভাবে দেখেন?
ফেসবুককে আমি কোনো অর্থেই খারাপভাবে দেখি না। এখানে একজন নীরেট পল্লীর লেখকও তার লেখা বা মতামত সহজেই তুলে ধরবার সুযোগ পাচ্ছে। আগে যেটা ছিল না। আগে লেখা প্রকাশ করার জন্য ডাকযোগে পত্রিকার সম্পাদক বরাবর পাঠাতে হতো। সম্পাদক মহোদয় অচেনা একজন লেখকের লেখা ছাপতে গিয়ে তাকে নানান দিক বিবেচনায় নিতে হতো। অনেক সময় মাসের পর মাস লেখা পাঠিয়ে একজন লেখককে অপেক্ষা করতে হতো। ফেসবুকে লেখার অবাধ সুযোগ হওয়ায় লেখকের সংখ্যাও বাড়ছে। তবে হ্যাঁ, লেখার মান নিয়ে বা সম্পাদনা না করেই যে কোনো একজন লেখক তার লেখা নিমিষেই ফেসবুকে ছেড়ে দিচ্ছে। এতে করে মানহীন অনেক লেখা যাচ্ছেতাই ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
১০. বর্তমানে বাংলা সাহিত্যের আলোচনা-সমালোচনা চর্চা কতটা গঠনম‚লক হচ্ছে?
তেমন হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা যারা সাহিত্য আলোচনা করছি, ম‚লত আলোচনায় তার ভালো দিকগুলোই তুলে ধরছি। উৎসাহ দিচ্ছি। পাশাপাশি যে গঠনম‚লক সমালোচনা হওয়া দরকার তা কিন্তু আদপে হচ্ছে না। আবার কেউ যদি সেই দিকে যায় তাহলে তার আবার নানান খেসারত দিতে হয়। এসব বিবেচনায় রেখেই হয়তো সমালোচনাটা খুব বেশি আগাচ্ছে না।
১১. লেখার সন্তুষ্টি নিয়ে কোন লেখককে কি কখনো থেমে যাওয়া উচিত? আপনার মতামত কি?
আমার মনে হয় প্রত্যেক লেখকেরই একটা অতৃপ্তি থেকেই যায়। লেখকের কাছে মনে হয়, তার সেরা লেখাটি এখনও লেখা হয়নি। এভাবেই তার জীবনের সিংহভাগ সময় কেটে যায়। তার আত্মতুষ্টি আর হয় না। কাজেই, কোনো লেখকেরই নিজের লেখার সন্তুষ্টি নিয়ে থেমে যাওয়া উচিৎ নয়। আমি আমার সেই লেখাটি এখনও লিখে উঠতে পারিনি। কাজেই লিখেই যাচ্ছি। হয়তো একদিন দেখা মিলবে সেই কাঙ্খিত লেখার।
১২. কবিতার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা বা প্যাটার্ন আছে?
কবিতা লেখার তো কলা কৌশল আছেই। ছন্দ, মাত্রা, রূপক, উপমা, উৎপ্রেক্ষা, টানা গদ্য আঙ্গিকে এমন তরো কতো রকমফেরই কবিতায় পরীক্ষণীয়ভাবে হয়, হচ্ছে। যেভাবেই লিখে থাকুক না কেন আখেরে কোনটা টিকে থাকবে সেটাই হলো বড় কথা। ছন্দের বাইরে যে যতই লিখুক না কেন তাকে ছন্দের ভেতরেই হাঁটতে হবে; সেটা যে ফর্মেই হোক না কেন।
১৩. আপনার কবিতা আপনার সমসাময়িকদের থেকে কোন জায়গাটায় আলাদা বলে আপনি মনে করেন?
আমি আমার কবিতায় আমার নিজের চিন্তার স্ফ‚রণ পাঠকের জন্য সরল ভঙ্গিমায় তুলে ধরবার চেষ্টা করি। আমি মনে করি আমি যা লিখছি, তা যেন একজন সাধারণ পাঠকও সহজেই বুঝে নিতে পারে। আমার লেখা সমসাময়িকদের থেকে আলাদা কিনা তা অন্যরা বলবেন। এটা আমি বলবো না বা বলবার বিষয় নয়। সমাজের বৈষম্যের বিরুদ্ধে, অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং মাটিলগ্ন মানুষের কথাই বলবার চেষ্টা করি। মানুষের যাপিত জীবনে ঘুণেধরা সমাজের অসংগতিগুলো কবিতায় প্রকাশ করার চেষ্টা করি।
১৪. বর্তমান সময়ের কবিতার বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্নতা ও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ বিষয়ে কিছু বলেন। কবি কি পাঠকের রুচির সাথে আপোষ করে কবিতা লেখা উচিত?
কবিতার দুর্বোধ্যতার অভিযোগ আগে ব্যাপক আকারে ছিল। পরবর্তী সময়ে এটা অনেকটাই কেটে গেছে। এখন একজন কবিকে পাঠকের কাছে যেতে হয়। পাঠক যদি তার কবিতায় দুর্বোধ্যতার কারণে পাঠই না করলো, তাহলে সেই কবিতা কেবলমাত্র বই বানিয়ে ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখার সমতুল্য হবে। এ অভিযোগ ইতোপ‚র্বেও ছিল এখনও আছে।
নিশ্চয় কবি পাঠকের রুচির সাথে আপোষ করে লিখবে না। তবে লেখক তো পাঠকের জন্যই লিখেন। পাঠকই যদি না বুঝলো বা গ্রহণ করলো না। তবে তার সার্থকথা কোথায়?
১৫. কবির স্বাধীনতা কবিতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
প্রত্যেক কবিরই ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ধ্যান-ধারণা এর মানসিক চিন্তার স্ফ‚রণ। কাজেই নিজ নিজ লেখার ভেতর তার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। সেই দৃষ্টিতে দেখলে কবি তার চিন্তার স্বকীয়তার বাইরে চৌকাঠ পেরিয়ে যেতে পারেন না। এ কারণেই কবিতায় তার প্রভাব স্বভাবতই প্রতিফলিত হয়।
১৬. সাহিত্যের বিশ্বাস আর ধর্মের বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য বা দ্বন্দ্ব কোথায়?
সাহিত্য যেমন সত্য-সুন্দরকে উপস্থাপন করে। সমাজের চিত্রকে তুলে আনে নিজ নিজ ভঙ্গিমায় তেমন ধর্মও সত্য সুন্দর। মানুষের কল্যাণের জন্য। বিপথগামী মানবজাতিকে সুপথে আনবার জন্য যুগ যুগ ধরে নবী রাসুলের আগমণ ঘটেছে। এখানে সাহিত্য একজন লেখক তার দেখা বিষয়কে কল্পনার আঁচড়ে রঙিন করে তুলে ধরছেন। তারও একটা বিশ্বাস রয়েছে। আবার ধর্ম কেউ দেখেনি। নবীগণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ওহীর লিপিবদ্ধ বয়ান থেকে মানবজাতি ধর্মগ্রন্থ পেয়েছে। এখানে প্রকট বিশ্বাসের বিষয় রয়েছে। ধর্ম তো বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। আপনার আস্থা না থাকলে বিশ্বাস স্থাপন না করলে তো ধর্ম পালন করা হবে না। সুতরাং এখানে সাহিত্যের বিশ্বাস আর ধর্মবিশ্বাস দুটি ভিন্ন মাত্রা বহন করে।
১৭. এখন কোন বইটা পড়ছেন?
এখন কথাসাহিত্যিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ রচনাবলী পড়ছি। কবিতার বই কবি আবুল হাসান এর ‘রচনাসমগ্র’ ও আব্দুল মান্নান সৈয়দ এর ‘নির্বাচিত কবিতা’ পুণঃপাঠ করছি।
১৮. আপনার প্রিয় লেখক কারা?
প্রিয় লেখকদের তালিকা একটু দীর্ঘ। সবার নাম এখানে বলা ঠিক হবে না।
১৯. আগামীতে কোন বই বের করছেন?
প্রতি বছরের মতো আগামী বছরও আমার কবিতার বই এর পাশাপাশি একটি গল্পের বই বের হবে।
২০. বই প্রকাশের আপনার প্রকাশনী তরুণদের কীভাবে সহযোগিতা করে থাকে?
বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি সবসময় তরুণদের সবচে বেশি অগ্রাধিকার দেই। কারণ, একজন তরুণ লেখক হতে পারে তার প্রথম বইটি বের করবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ তার কোন ধারণা নেই। এমন ক্ষেত্রে আমরা তার লেখা প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে পান্ডুলিপি নিজেরা প্রস্তুত করতঃ তাকে দেখিয়ে নেই। প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে বাজারজাত করার উদ্যোগ নেই। প্রচারের ব্যবস্থা করি।
ভাল লাগলো
ReplyDeleteঅশেষ ধন্যবাদ . . .
Delete